“বাংলা ভাষাকে ঘেন্না করে বিজেপি। বাংলার মানুষকেও ভালোবাসে না তারা।”—বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সম্প্রতি বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর আক্রমণের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ।

মহুয়া মৈত্রর অভিযোগ, শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলার অপরাধেই মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, গুজরাতের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলার শ্রমিকদের হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। অনেককে ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে পুশব্যাক করা হয়েছে, যেটি অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং বিপজ্জনক প্রবণতা। তিনি বলেন, “যেখানে বাংলার মানুষ অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দাদের আপন করে নিচ্ছে, সেখানে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে আমাদের শ্রমিকদের ওপর এত হিংসা কেন? বিজেপি বাংলার অস্তিত্বটাই মুছে দিতে চাইছে। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে ওদের ঘৃণা ভয়ঙ্কর মাত্রায় পৌঁছেছে। বাংলাকে ভালো না বাসলে বাংলার মানুষের উপর এই আচরণই স্বাভাবিক।”

তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপর হস্তক্ষেপেই অনেক আক্রান্ত শ্রমিক ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলার শ্রমিকদের উপর ধারাবাহিক আক্রমণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সংসদ থেকে রাজপথে।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়েই আরজিকর হাসপাতাল ও কসবা ল কলেজে ঘটে যাওয়া ঘটনায় রাজ্য জুড়ে মহিলাদের নিরাপত্তা এবং বাংলার সম্মান রক্ষায় নতুন করে সরব হয়েছে শাসক দল। তারই মধ্যে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিক নিগ্রহের অভিযোগ রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।

মহুয়া মৈত্র স্পষ্ট করে বলেন, “বাংলার মানুষকে এ বার সতর্ক হতে হবে। যারা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে ঘেন্না করে, তাদের চিনে নেওয়ার সময় এসেছে।” এই ইস্যুতে পাল্টা এখনও বিজেপির তরফে কোনও মন্তব্য না এলেও, সূত্রের খবর—দলীয় স্তরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে। তবে মহুয়ার আক্রমণের জেরে রাজনৈতিক চাপ যে বাড়ছে, তা স্পষ্ট।

আরও পড়ুন – ঝাড়খণ্ডে বে-আইনি কয়লাখনিতে ধস: মৃত ৪, আটকে বহু

_

_

_

_
_
_
_
_
_