সুপ্রিম কোর্ট ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত মামলায় কোনও রায় দেওয়ার আগেই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে সক্রিয় হয়েছে নির্বাচন কমিশন(ECI)। সম্প্রতি কমিশন, দেশের সব রাজ্যে বিহারের মতো বিশেষ সংশোধনের (Special Intensive Revision বা, SIR) নির্দেশ দিয়েছে। এর বিরোধিতায় সরব হয়েছে একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক শিবির। প্রশ্ন উঠছে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও।

প্রসঙ্গত, ৫ জুলাই, সুপ্রিম কোর্টে বিহারের বিশেষ সংশোধন (SIR) নিয়ে একটি মামলা দায়েরের পরই নির্বাচন কমিশন দেশের সব রাজ্যের চিফ ইলেকশন অফিসারদের চিঠি দিয়ে ১ জানুয়ারি, ২০২৬-কে যোগ্যতার তারিখ ধরে তালিকা সংশোধনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেয়। উল্লেখ, আদালত কমিশনকে তাদের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ না দিলেও, আধার, ভোটার কার্ড ও রেশন কার্ড বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে। ওই মামলায় কমিশনকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে, এবং মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই।

কমিশনের ওই নির্দেশের তীব্র সমালোচনা করে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি জানান, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায় ছাড়া নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অর্থহীন।’ কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুর অভিযোগ করেন, ‘কমিশন আদালতের মতামত উপেক্ষা করছে।’
অন্যদিকে, আরজেডি নেতা মনোজ ঝা বলেন,’কমিশন রাজনৈতিক দলগুলিকে না জানিয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘এই তালিকা সংশোধনের আড়ালে নাগরিকপঞ্জি (NRC) তৈরির চেষ্টা চলছে। এর ফলে দরিদ্র মানুষের নাম বাদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
সিপি(আই)এম ও সিপিআই নেতারাও ভুয়া ভোটার ছাঁটাইয়ের আড়ালে NRC রূপে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।
বিরোধীদের মতে, কমিশনের এই তাড়াহুড়ো আদতে গনতান্ত্রিক পরিকাঠামোকেই ব্যাহত করবে। এই পরিস্থিতিতে ২৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় কি রায় দেয়, তার ওপরেই নির্ভর করবে গোটা দেশজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের বৈধতা।

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–