দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবস (79th Independence Day Celebration)। প্রায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির উদযাপনে আজ দিল্লি থেকে কলকাতা সর্বোচ্চই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। শুক্রবার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর লালকেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন তাঁর কথায় উঠে আসে ভারতের বিভিন্ন ভাষা বৈচিত্র্যের কথা। বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষা উল্লেখ করে সব ভাষা নিয়ে গর্ববোধ করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের একটানা ভাষা আন্দোলন এবং অন্যান্য বিরোধী দলের তা সমর্থন করার ফলে চাপে পড়েছেন মোদি। বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর বাংলা ভাষাকে অপমানের পর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে যেভাবে বাংলাসহ সব ভাষাকে সম্মান করার কথা তার থেকে এটা স্পষ্ট যে ভাষা সন্ত্রাসের বিরোধিতায় বাংলার আন্দোলনে কার্যত চাপে পড়েছে কেন্দ্র।

কখনও বাংলাভাষাকে বাংলাদেশি তকমা, কখনও বিজেপি রাজ্যে বঙ্গভাষীদের উপর অকথ্য অত্যাচার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে গর্জে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গবাসী। সংসদ ভবনের ভেতরে বাইরে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ বিক্ষোভ। ভোটের আগে বাংলায় এসে টেলিপ্রম্পটার দেখে বাংলা ভাষায় বক্তব্য রাখা প্রধানমন্ত্রী এর আগে এই নিয়ে একটা শব্দ উচ্চারণ না করলেও লালকেল্লার ভাষণ থেকে বাংলা যে ধ্রুপদী ভাষা তা স্বীকার করে নিতে দেখা গেল তাঁকে। শুধু তাই নয়, তিনি এদিন বলেন ভাষা বৈচিত্র্য ভারতের বড় সম্পদ যত বেশি করে তা সমৃদ্ধ হবে ততই জ্ঞান বাড়বে। এটাই দেশের শক্তি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক ভাষাকে সম্মান করা উচিৎ। ভারতে বিবিধ ভাষার সমাহার। বাংলা, পালি ধ্রুপদী ভাষা। সব ভাষার প্রতি আমরা গর্বিত। ভাষা সমৃদ্ধ হলে জ্ঞান বাড়বে। আমাদের বৈচিত্র্যকে উদযাপন করা উচিত।এই বৈচিত্র্যই আমাদের শক্তি’। দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা আসলে যে বিরোধীদের লাগাতার আন্দোলনের চাপের ফল তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে বাঙালি বিপ্লবীদের অবদান সব থেকে বেশি। তাই মাতৃভাষার অপমান কোনভাবেই যে বরদাস্ত করা হবে না তা সাফ জানিয়েছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির আইটি সেলের নেতা অমিত মালব্য বলেছিলেন, বাংলা নাকি কোনও ভাষাই নয়। তবে তৃণমূল সাংসদ ও বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভ -প্রতিবাদের জেরে এবার স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চে মোদির মুখে উঠে এলো ভাষা সম্মানের কথা।

–

–

–

–

–

–

–

–

–