থামাতে গিয়েছিলেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আলাস্কা থেকে ফাঁকা হাতেই ফিরলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে বৈঠক শেষে আলাস্কায় সাংবাদিকদের স্পষ্ট জানালেন পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে যুদ্ধ থামানোর কোনও রফা সূত্র বের হয়নি। এবার ইউক্রেন রাষ্ট্রপতি ভলোদাইমির জেলেনস্কি ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নই সমাধান বের করতে পারে একমাত্র।

আলাস্কার ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের দিকে তাকিয়ে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে ছিল গোটা ইউক্রেন। জেলেনস্কির তরফ থেকে যুদ্ধ থামানোর যে বার্তা নিয়ে আলাস্কায় ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন, সেই যুদ্ধ থামানোর কোনও সমাধান খুঁজে পেলেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। শেষ কয়েক মাস ধরে গোটা পৃথিবীতে একের পর এক যুদ্ধ থামানোর ভুয়ো দাবি করে শেষ লক্ষ্য ট্রাম্প রেখেছিলেন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামানো নিয়ে। আর সেই শেষ লক্ষ্যেই খালি হাতে ফিরতে হল ট্রাম্পকে।

আলাস্কায় প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন ট্রাম্প-পুতিন (Donald Trump-Vladimir Putin)। যার ফলাফল নিয়ে গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল গোটা বিশ্ব। তবে সবাইকে হতাশ করে ট্রাম্প জানালেন এবার ইউক্রেন রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কিকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেইসঙ্গে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতাদের এই বিষয়টিকে অল্পবিস্তর যুক্ত হতে হবে। যদিও সবথেকে বড় ভূমিকা থাকবে জেলেনস্কির।

যদিও পুতিন দাবি করেন, আমেরিকা ও রাশিয়া একটি সমঝোতায় এসেছে। এই দুই দেশের সমঝোতার বিষয়টি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কোনওভাবে মেনে নিলে সমস্যার সমাধান হতে পারে। তারা এই বিষয়ে যে অগ্রগতি হয়েছে তাকে কোনওভাবে নষ্ট না করলেই ভালো, বুঝিয়ে দেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি।

ইউক্রেন রাষ্ট্রপতি গোটা বৈঠক প্রক্রিয়ায় হতাশা সত্ত্বেও আমেরিকার উপরই ভরসা রাখছেন। কার্যত জেলেনস্কি বিশ্বাসই করতেই পারছেন না ট্রাম্প নিজে পুতিনের সঙ্গে বৈঠককেও কোনও সমাধান বের করতে পারলেন না। সোমবারই হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করে যুদ্ধ থামানো নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান। সেই সঙ্গে ইউরোপের বড় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। জেলেনস্কি দাবি করেন, সব রাষ্ট্র নায়কই দ্রুত ও স্থায়ী হতে হবে বলেও দাবি ইউরোপের নেতাদের।

–

–

–

–

–
