ভিনজাতে বিবাহে বাধা এলে এবার সিপিএম-বিজেপি দুইয়েরই পার্টি অফিস খোলা তামিলনাড়ুতে। শুধুমাত্র জাতপাতের বিভাজনকে কেন্দ্র করে তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলি জেলায় এক বছরে ২৪০টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণেই তরুণ যুগল যাঁরা প্রেম করে বিয়ে করতে চান, বিশেষত ভিন্ন জাত, ধর্ম ও বর্ণের প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ের জন্য সিপিএম-এর পার্টি অফিস খোলা থাকবে। এই বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপিও। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই এ নিয়ে বার্তা দিয়েছেন। এইভাবেই ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাম-বাম নিজেদের রাজনৈতিক প্রচার সারছে।

সিপিএমের তামিলনাড়ুর রাজ্য সম্পাদক পি সম্মুগম জানিয়েছেন, “তিরুনেলভেলিতে আমাদের পার্টি অফিস চুরমার করে দিয়েছিল পাত্রীর বাড়ির লোকজন। কিন্তু তা-ও আমরা পিছয়নি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাজ্যের সব পার্টি অফিসে এই ধরনের বিবাহ আমরা সম্পন্ন করব। না হলে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা যাবে না।” তিনি আরও জানিয়েছেন,”জাত-ধর্ম আমাদের সমাজকে কয়েকশো বছর ধরে ভাগ করে রেখেছে। শোষণের মূলে রয়েছে অসবর্ণ বিয়ের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ। আমরা তরুণ প্রেমিকা-প্রেমিকাদের কাছে বার্তা দিতে চাই যে, সিপিএম তোমাদের পাশে আছে। আমাদের পার্টি অফিস তোমাদের মাথা গোঁজার আশ্রয় দিতে সবসময় খোলা থাকবে।” পরিবারের সম্মানরক্ষায় খুনের জন্য আলাদা আইন আনার দাবিও জানান সম্মুগম।

ভোটের প্রচারে এই ভাবে সিপিএমকে নামতে দেখে বিজেপিও কোমর বেঁধে নেমেছে। আন্নামালাই জানিয়েছেন, সিপিএম যা করেছে তাকে স্বাগত জানাই। অসবর্ণ বিয়ের জন্য বিজেপির কার্যালয়গুলিও খোলা থাকবে।

এবার বাকি রইল বাংলার সিপিএম। বাংলাতেও ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। প্রচারে নামতে হবে ‘কাস্তে-হাতুড়ি’ হাতে! সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন,” পার্টি অফিসে মানুষের জন্যই কাজ হয়। আমাদের পার্টি অফিসে বিয়ে হতেই পারে।”

আরও পড়ুন – বাকস্বাধীনতাকে রক্ষাকবচ করে কনটেন্টের নামে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ নয়, রায় শীর্ষ আদালতের

_

_

_

_

_

_