‘ডিটেনশন ক্যাম্প’। এই দুটো শব্দ বাংলার মানুষের মনে, বিশেষ করে প্রান্তিক পরিযায়ী শ্রমিকদের মনে এখন প্রধান ভীতির কারণ। বিজেপি শাসিত ভিনরাজ্যগুলিতে এই ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করে বাঙালি, প্রান্তিক, গরিব মানুষদের বাংলাদেশি সন্দেহে অকথ্য অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি (BJP)। বিজেপির এই ঘৃণ্য চক্রান্ত, ডিটেনশন ক্যাম্পের বিরুদ্ধে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে প্রথম থেকেই। কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন, উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন স্থানে পথসভা করেছেন দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের সদস্যরা। এবার তাঁরা সভা করলেন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের জেলা পরিষদ ভবনে। শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর বিপুল জনসমাগমে ডিটেনশন ক্যাম্প নামক চক্রান্তের বিরুদ্ধে এবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে গর্জে উঠল দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের সমবেত কণ্ঠস্বর।

জঙ্গিপুরের জেলা পরিষদ ভবনে শনিবার উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূলের প্রায় সব বিধায়ক, পঞ্চায়েতের সদস্যরা। সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী আখরুজ্জামান, বিধায়ক ইমনি বিশ্বাস, মণিরুল ইসলাম, কানাই মণ্ডল এবং সাংসদ খলিলুর রহমানদেশের মতো বিশিষ্ট মানুষেরা। বাঁচাও গণমঞ্চের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত, অর্থনীতিবিদ প্রদীপ্ত গুহঠাকুরতা, অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্রকার সুদেষ্ণা রায় (Sudeshna Roy), সংগীত শিল্পী সৈকত মিত্র, নাজমুল হক, অমিত কালি, অভিনেতা ভিভান ঘোষ, সমাজকর্মী সুশান রায়, বর্ণালী মুখোপাধ্যায়, সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুমন ভট্টাচার্য প্রমুখরা।

এই সভায় দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের সদস্যরা জঙ্গিপুরের (Jangipur) সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছেন, যে কীভাবে বিজেপি সাধারণ মানুষ, প্রান্তিক পরিযায়ী শ্রমিকের উপর ক্রমাগত অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। এই অত্যাচারের প্রতিরোধ বাঙালিকেই একত্রিত হয়ে করতে হবে, রুখে দিতে হবে বিজেপির সমস্ত চক্রান্তকে। এবং বাঙালিরা সেটা পারবেই। শনিবারের জঙ্গিপুরের এই প্রতিবাদী সভা কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। শুধু জঙ্গিপুরের পুরুষরাই নয়, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে জঙ্গিপুরের মহিলারাও এই সভায় যোগ দিয়েছিলেন। দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের সদস্যরা তাঁদের বক্তব্যের মাধ্যমে জঙ্গিপুরের সাধারণ মানুষদের, প্রান্তিক মানুষদের উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছেন, সেটা বলাই বাহুল্য। অনুষ্ঠানের শেষে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের তরফে প্রকাশিত আরএসএস-এর গ্রাসে ভারত শীর্ষক বিশেষ সংকলন তুলে দেওয়া হয় জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানের হাতে। সেই সংকলন তুলে দেন সুশান রায় ও নাজমুল হক।

–

–

–

–
–
–

–
–