“একজন প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ দিলে বাংলা থেকে এক লক্ষ মানুষ গিয়ে দিল্লির নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও করবেন।“ শনিবার, পূর্ব বর্ধমানের (East Bardhawan) কেতুগ্রামে তৃণমূলের (TMC) বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে থেকে SIR নিয়ে মোদি সরকারকে (Modi Government) এই হুঁশিয়ারি দিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর কথায়, “SIR নিয়ে এককাট্টা থাকুন। মাথার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। তৃণমূল পরিবার সঙ্গে আছে।“

এদিন কাটোয়ার (Katwa) কেতুগ্রাম ১, কেতুগ্রাম ২ ব্লক এবং কাটোয়ায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন কুণাল ঘোষ। কান্দরায় প্রথমে কেতুগ্রাম ১ ব্লকের বিজয়া সম্মিলনী হয়। কুণাল (Kunal Ghosh) ছাড়াও ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ। মূল বক্তা কুণাল ঘোষ বলেন, “ছাব্বিশের ভোটে আড়াইশো আসন নিয়ে আবার তৃণমূল আসছে। মুখ্যমন্ত্রী পদে বদল হবে না। বদল হবে বিরোধী দলনেতার পদে। কারণ বিরোধী শিবিরে থাকার জন্য যতগুলো বিধায়ক দরকার, ততগুলো বিধায়ক বিজেপির (BJP) থাকবে না।“

অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বিজেপির তীব্র সমালোচনা করে কুণাল বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করিয়ে লাভ হয়নি। এজেন্সি লেলিয়েও ফল মেলেনি। এবার ভিনরাজ্যের ভোটারদের নাম ঢুকিয়ে ভোটার লিস্টে কারচুপি করে পিছনের দরজা দিয়ে জেতার চেষ্টা করেও লাভ হবে না।“ এর পরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে কুণাল বলেন, “একজন প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ দিলে বাংলা থেকে এক লক্ষ মানুষ গিয়ে দিল্লির নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও করবেন।“ তাঁর অভিযোগ, দিল্লি, মহারাষ্ট্রে ভোটার লিস্টে কারচুপি করে বিজেপি জিতেছে। সেই ষড়যন্ত্র তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফাঁস করেছেন। তাই এত গাত্রদাহ বিজেপির।

নাগরাকাটায় বিজেপির সাংসদ-বিধায়কের উপর হামলার ঘটনার নিন্দা করে কুণাল বলেন, “যাঁরা বছরভর মানুষের পাশে থাকেন না, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বাহানায় ছবি তুলতে গেলে মানুষতো ক্ষোভ দেখাবেনই।“ ভোট আসায় ED, CBI-সহ দিল্লির লোকজনের যাতায়াত বাড়বে বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল মুখপাত্র। বলেন, “তাঁদের কাছে মানুষতো স্বাভাবিকভাবেই জানতে চাইবে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পে কেন বাংলাকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হল?“ তবে কোথাও যেন ‘উগ্র বিক্ষোভ বা অপ্রীতিকর অবস্থা’ তৈরি না হয়, সে বিষয়ে দলের বুথ ও অঞ্চল স্তরের নেতৃত্বকে সতর্ক থাকতে বলেন কুণাল। সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ‘ভোট নষ্ট করতেও’ নিষেধ করেন

শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে এসে এই হুঁশিয়ারি দিলেন দলের মুখপাত্র কুণাল। কেতুগ্রামের কাঁদরায় দলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “আগে বলেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করাতে হবে। তাতে ওরা হেরেছে। এখন ভোটার তালিকায় কারচুপি করতে চাইছে। নির্বাচন কমিশনকে এসব কাজে লাগিয়েছে। অন্য রাজ্যের ভোটারদের নাম তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। যেভাবে মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে জিতেছিল। এখানেও সেটা চাইছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা ধরে ফেলেছেন।”

নাগরাকাটায় বিজেপির সাংসদ-বিধায়কের উপর হামলার ঘটনার নিন্দা করে কুণাল বলেন, ‘যাঁরা বছরভর মানুষের পাশে থাকেন না, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বাহানায় ছবিষতুলতে গেলে মানুষতো ক্ষোভ দেখাবেই।’ ভোট আসায় ইডি, সিবিআই-সহ দিল্লির লোকজনের যাতায়াত বাড়বে বলে জানান কুণাল। বলেন, ‘তাঁদের কাছে মানুষতো স্বাভাবিকভাবেই জানতে চাইবে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পে কেন বাংলাকে ১ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হল?’ তবে কোথাও যেন ‘উগ্র বিক্ষোভ বা অপ্রীতিকর অবস্থা’ তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে দলের বুথ ও অঞ্চল স্তরের নেতৃত্বকে সতর্ক থাকতে বলেন কুণাল। সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ‘ভোট নষ্ট করতেও মানা’ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

–

–

–

–