গত ৪ঠা অক্টোবর ভয়াবহ বন্যায় ধূপগুড়ি মহাকুমার গাধেযারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। প্রবল জলের তোড়ে ভেসে যায় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি— ক্ষতিগ্রস্ত হয় শতাধিক পরিবার। সেই দুর্যোগের সময়ে দ্রুত তৎপরতার পরিচয় দিয়ে রাজ্য সরকার ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস পাশে দাঁড়ায় বিপর্যস্ত মানুষের।
ঘটনার পরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে রাজ্যের মন্ত্রী, স্থানীয় বিধায়ক এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা পরিদর্শনে আসেন দুর্গত এলাকায়। শুরু হয় ত্রাণ ও পুনরুদ্ধার কাজ। সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ দফতরের টিম যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়। শনিবারের মধ্যেই প্রায় সমস্ত এলাকা আলোয় ফিরেছে।
ধূপগুড়ির বিধায়ক অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র রায় জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় নজির গড়েছে। আমরা মাঠে নেমে একেকটি পরিবারের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছি। বিদ্যুৎ, খাদ্য, চিকিৎসা— সব পরিষেবা দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি।” জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, “দলের কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রশাসন ও দল একসঙ্গে কাজ করছে। আজ মানুষের চোখে আশার আলো দেখা যাচ্ছে— এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
জলঢাকার পাশে ঘর হারানো বহু পরিবার আপাতত ত্রাণ শিবিরে থাকলেও প্রশাসনের তরফে শুরু হয়েছে পূনর্বাসনের প্রস্তুতি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে কৃষি সহায়তা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ চলছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, দুর্যোগের প্রথম দিনগুলিতে হতাশা ও ভয় ঘিরে ধরেছিল, কিন্তু দ্রুত প্রশাসনিক সাড়া এবং ত্রাণ ও পরিষেবায় আবার ফিরেছে আশার আলো।
–
–

–

–

–

–
