আফ্রিকা মহাদেশের ইসোয়াতিনির (আগে নাম ছিল সোয়াজিল্যান্ড) রাজা। রাজাদের আফ্রিকা মহাদেশের এই দেশে ‘দ্য লায়ন’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ইসোয়াতিনির রাজা তৃতীয় এমসোয়াতি। তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে দেশটি শাসন করছেন। একাধিক প্রতিবেদন অনুসারে, তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদ ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। জুলাই মাসে প্রথম প্রকাশিত এই ভিডিওটিতে আবুধাবি বিমানবন্দরে রাজার একাধিক স্ত্রী এবং বিশাল সফরসঙ্গীর ‘বাহিনী’ দেখানো হয়েছে। বাহিনী এই কারণেই বলা হয়েছে যে ১৫ স্ত্রী, ৩০ সন্তান এবং নানা কাজের জন্য ১০০ লোক থাকে সর্বক্ষণ রাজার সঙ্গে।

রাজা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে একটি ব্যক্তিগত বিমান থেকে নামছেন। মার্জিত পোশাক পরা একদল মহিলা তাঁর পিছনে। ভিডিও ক্লিপের উপরে লেখা, “ইসোয়াতিনির রাজা ১৫ জন স্ত্রী এবং ১০০ জন ভৃত্য নিয়ে আবুধাবিতে এসে পৌঁছেছেন। তাঁর পিতা, রাজা দ্বিতীয় সোভুজার ১২৫ জন স্ত্রী ছিলেন।” এই বিশাল দলের জন্য বিমানবন্দরে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। ফলে রাজকীয় দলের নিরাপত্তার জন্য একাধিক টার্মিনাল বন্ধ করে দিতে হয়। এর ফলে রাজাকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে।

ইসোয়াতিনিতে রাজার বিয়ে করার জন্য স্ত্রী বাছাই করার পদ্ধতিটিও স্বতন্ত্র। প্রতি বছর অগাস্টের শেষে বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে সোয়াজি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার কুমারী নারী এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। রাজা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন এবং তাঁদের প্রতি সম্মান জানান। এই সমস্ত তরুণীর মধ্যে থেকে এক জনকে নিজের স্ত্রী হিসাবে বেছে নেন রাজা।

রাজপরিবারের প্রচুর সম্পদ থাকলেও, দেশের বেশিরভাগ নাগরিকের জীবনযাত্রা অন্য গল্প বলে। ইসোয়াতিনির প্রায় ৬০ শতাংশ জনসংখ্যা দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে। দেশটিতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সরকারি হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতি এবং আর্থিকভাবে সঙ্কটাপন্ন পড়ুয়াদের অনুদানের উপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এই দেশে বেকারত্ব ৩৩.৩ শতাংশ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য হু হু করে বাড়ছে। ইসোয়াতিনির খবর, রাজা নির্মাণ, পর্যটন, কৃষি, টেলিযোগাযোগ এবং বনাঞ্চলের মতো বিভিন্ন কোম্পানিতে শেয়ারের মালিক।

তবে বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, বর্তমান রাজার বাবা প্রাক্তন রাজা দ্বিতীয় সোভুজার ১২৫ জন স্ত্রী ছিলেন। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, ২১০ জনেরও বেশি সন্তান এবং প্রায় ১ হাজার নাতি-নাতনি ছিলেন তাঁর।

–

–

–

–

–
–