প্রতিবেশী রাজ্যে ঢালাও সুবিধা। জীবনযাপনের মান থেকে পরিবারের নিরাপত্তায় একের পর এক দায়িত্ব পালন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। অথচ বিপুল পরিমাণ চাবাগান এলাকা থাকা সত্ত্বেও রাজ্যে চা শ্রমিকদের (tea worker) জন্য কিছুই করেনি ডবল ইঞ্জিন অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) প্রশাসন। রাজ্যের তথ্যও সেই কথাই বলে। এবার সেই সব অপ্রাপ্তি নিয়ে আন্দোলনে অসমের চা শ্রমিকদের সংগঠনগুলি। বাংলায় যেভাবে সুবিধা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই সব পরিষেবা দাবি জানালেন অসমের (Assam) চা শ্রমিকরা।

অসমের ডিব্রুগড় (Dibrugarh), তিনশুকিয়া থেকে শোনিপত পর্যন্ত পাঁচ জেলা জুড়ে চা বাগান। তার কয়েক লক্ষ চা শ্রমিক। কিন্তু ডবল ইঞ্জিন প্রশাসনের আমলে কোনও সুবিধাই পান না চা শ্রমিকরা। এবার তারই প্রতিবাদে সব চা শ্রমিকদের আদিবাসী (Adivasi) সংগঠনগুলি।

চা শ্রমিকদের তিনটি সংগঠনের পাশাপাশি আদিবাসী ছাত্র ও যুবদের তিনটি সংগঠন এক যোগে এবার হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব। মোরান, মুশলপুর প্রভৃতি এলাকায় একাধিক মিছিল করে তারা। কখনও মশাল মিছিল, কখনও মহিলাদের মিছিল করে সরব আদিবাসী সংগঠনগুলি। তাঁদের দাবি, আদিবাসীদের এসটি (ST) মর্যাদা দিতে হবে। সেই সঙ্গে জমির মালিকানার (Patta) দাবিতে সরব আদিবাসী সংগঠনগুলি। এছাড়াও চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি (daily wage) বাড়িয়ে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

আদিবাসীদের (Adivasi) প্রতিবাদ থেকে অসম (Assam) থেকে বিজেপি (BJP) হঠানোর ডাক দেওয়া হয়। ‘গণ হুংকার’ নাম দিয়ে পথে নামে আদিবাসীরা। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের দাবি থেকে কোনওভাবেই মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারবে না অসম সরকার। তাঁদের দাবির সদর্থক উত্তর না পেলে তার প্রভাব পড়বে আসন্ন নির্বাচনে। অসমে বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬ সালে। তার আগে আদিবাসী অভ্যুত্থান যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টা পার: উত্তরপ্রদেশে পাথরখনি ধসে আটকে ১৫ শ্রমিক! মৃত ২

অসম সরকার যে অসমের আদিবসী সম্প্রদায় ও আদিবাসী জনজাতি সম্পর্কে একেবারে উদাসীন, তা প্রমাণিত হয় অসম সরকারের সরকারি ওয়েব সাইট থেকেই। চাবাগানের শ্রমিক ও আদিবাসী উন্নয়নের জন্য যে বোর্ড রয়েছে তাতে এবছরের উন্নয়ন খাতে কোনও কাজেরই খতিয়ান নেই। কোনও প্রকল্পের নাম পর্যন্ত পাওয়া যায় না ডবল ইঞ্জিনের সাজানো ওয়েবসাইটে। যদিও হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রশাসনের তরফে আদিবাসী আন্দোলন নিয়ে এখনও মুখ খোলা হয়নি।

–

–

–

–


