আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ঘোষণা হবে সাজা। তাতে মৃত্যুদণ্ডের সম্ভাবনা। তা সত্ত্বেও বহু বছরের প্রচেষ্টায় যে আওয়ামী লিগকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, তাকে উপড়ে ফেলা যাবে না। সাজা ঘোষণার আগে জোরালো দাবি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina)। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে (secularism) তুলে দিয়ে মৌলবাদীদের হাতে তুলে দেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের (Interim Government) প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে (Mohammed Yunus) দায়ী করলেন শেখ হাসিনা।

সোমবার সাজা ঘোষণার আগে উত্তপ্ত হওয়ার ইঙ্গিত ঢাকা (Dhaka) ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়। মোতায়েন হয়েছে প্রচুর সেনা। সরকারি ও বেসরকারি দফতরগুলিকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম প্রক্রিয়ায় কাজ করার অলিখিত অনুরোধ জানানো হয়েছে। উল্টোদিকে আওয়ামী লিগ (Awami League) সমর্থকরা অঘোষিত লকডাউনের (lockdown) ডাক দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সমর্থকদের ঢাকায় জমায়েতের ডাকও দেওয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সমান দৃঢ় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে চলা অরাজকতা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে তিনি দাবি করেন, স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র আন্দোলনকে অগণতান্ত্রিক শক্তিগুলি বিপথে চালিত করেছিল গণতান্ত্রিক পথে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য।

সেই সঙ্গে আবেগপ্রবণ হাসিনার দাবি, নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে আসা অত্যন্ত বেদনার। তবে বর্তমান সরকারের হাতে বাংলাদেশের (Bangladesh) বহুমতের (pluralism) সংস্কৃতিকে ধ্বংস করা হয়েছে। ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের বাড়ি ধ্বংসের ডাক দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছে।

এই সবের সঙ্গে বাংলাদেশে মৌলবাদী শক্তিগুলির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সরব শেখ হাসিনা। তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আগেও ছিল। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে মৌলবাদী (radical) ও চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের (terrorist organisation) সঙ্গে বর্তমান বাংলাদেশ প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করছে তা উদ্বেগজনক। কয়েক দশক ধরে আমাদের সরকার ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্যকে বহন করেছিল সফলভাবে। প্রতিহত করা হয়েছিল বিদেশি ও অন্তর্দেশীয় মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে। ইউনূস এই মৌলবাদী সংগঠনগুলির বাড়বাড়ন্তে মুখ্য ভূমিকা নিচ্ছেন।

আরও পড়ুন : শুট অ্যাট সাইট নির্দেশ ইউনূস প্রশাসনের! হাসিনার রায় বেরোনোর আগে উত্তপ্ত ঢাকা

সোমবারের আদালতের রায়ে ফাঁসির সাজা হতে পারে প্রাক্তন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর। তবে সে বিষয়ে তিনি বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। তিনি জানান, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ অনেক তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছে। কোনও সুবিধাবাদীর পকেট থেকে নয়। তাকে সরানো সহজ নয়। ওরা রায় ঘোষণা করুক। আমার কিছু যায় আসে না। ঈশ্বর আমায় জীবন দিয়েছেন, নেবেনও তিনিই। কিন্তু আমি আমার দেশের মানুষের জন্য কাজ করেই যাব। আমার বিশ্বাস আমি সবকিছুর উত্তর দিতে পারব।

–

–

–


