বিজেপির গুন্ডাদের হাতে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে তৃণমূলের দুই বিএলএ-২ পবিত্রকুমার সাউ ও দেবব্রত মাইতির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বিজেপির এই কুরুচিকর কাজের তীব্র প্রতিবাদ করে কুণাল বলেন, এসআইআর-এর নাম করে প্রকৃত ভোটারদের বাদ দেওয়ার যে চক্রান্ত বিজেপি করছে তাতে বাধা দেওয়ার জন্যই এই আক্রমণ। তৃণমূল কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসআইআর-এর নামে বিজেপির এই নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত অসফল করছেন। আর তাতেই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েই তৃণমূল কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালাল বিজেপি। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন কুণাল।

জানা গিয়েছে, এসআইআরের কাজ চলাকালীন আক্রান্ত হন দুজন। বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জলিবাড় ৩৮ নং বুথ এলাকায় বিজেপির দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন এলাকার তৃণমূলের বিএলএ-২ পবিত্রকুমার সাউ ও তাঁর সহযোগী দেবব্রত মাইতি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়েই তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আক্রান্তদের উদ্ধার করে স্থানীয় ভগবানপুর গ্রামীণ চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে বিএলএর সহযোগী দেবব্রত মাইতিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা।

পবিত্র এবং দেবব্রত দুজনেই তৃণমূল কর্মী। সম্প্রতি এসআইআরের জন্য তৃণমূলের তরফে পবিত্রকে বিএলএ-২ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। দেবব্রতকে তাঁর সহযোগী নির্বাচিত করে তৃণমূল। অভিযোগ, এরপর থেকেই এই দুজনের কাছে বিজেপির তরফে লাগাতার প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি আসছিল। বিজেপির হুমকিকে তোয়াক্কা না করেই অন্যান্য দিনের মতোই বৃহস্পতিবার সকালে পবিত্র ও দেবব্রত ভোটারদের ফর্মপূরণের কাজ করছিলেন। ঠিক সেই সময় দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য হরিপদ দাস, ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী বাবুলাল কান্ডার ও ভগবানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী নির্মল দাসের নেতৃত্বে দলবল এসে তাঁদের ওপর চড়াও হয়। স্থানীয়রা জড়ো হতেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। জখম দুজনকে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা পবিত্রকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। এই ঘটনার পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবিতে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। ভগবানপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপসুন্দর পণ্ডা বলেন, এসআইআরে আমরা যেভাবে মানুষকে সহযোগিতা করছি সেটা বিজেপির সহ্য হয়নি। তাই যাতে আমরা মানুষকে সহযোগিতা করতে না-পারি তার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ওরা যদি ভেবে থাকে এভাবে মানুষের কাজ থেকে আমাদের বিরত রাখবে তাহলে ভুল ভাবছে। তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিজেপির এই ন্যক্কারজনক রাজনীতির তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- কলকাতায় ১৫ বছরের পুরোনো বাস চলাচলে নতুন গাইডলাইন, উপকৃত মালিকেরা

_

_

_

_

_

_
_


