প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের আফটার শক এখনও পিছু ছাড়ছে না প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের। এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয়বার কেঁপে উঠল বাংলাদেশের নরসিংদী (Narsangdi) এলাকা। এমনকি বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের মনিপুরে (Manipur) যে ভূমিকম্প (earthquake) হয়, তার প্রভাবও বাংলাদেশের বেশ কিছু এলাকায় পড়েছে বলে দাবি সে দেশের ভূতত্ত্ববিদদের।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩.৪৫ নাগাদ কেঁপে ওঠে নরসিংদী (Narsingdi) এলাকা। ভূমিকম্পের (earthquake) তীব্রতা ছিল ৩.৬। এবারেও ভূত্বকের খুব কাছে এই কম্পনের উৎপত্তিস্থল। মাত্র ১০ কিমি গভীরে (earthquake depth) তৈরি হয়েছিল এই ভূমিকম্প। যদিও তীব্রতা কিছুটা কম হওয়ায় সেভাবে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বৃহস্পতিবারের ভূমিকম্পে।

এর আগে গত সপ্তাহের শুক্রবার প্রবল কম্পন অনুভূত হয় নরসিংদী এলাকায়। সেদিনের ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ১০-এর অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ফের কম্পন অনুভূত হয়েছিল শনিবার। তবে সেদিন কম্পনের মাত্রা কম থাকায় ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। বৃহস্পতিবার ভোর ৫.৪২ নাগাদ কেঁপে ওঠে ভারতের মনিপুর (Manipur)। কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৫। সেই কম্পনের প্রভাবে কম্পন অনুভূত হয় বাংলাদেশের সিলেট, কক্সবাজারের টেকনাফে।

আরও পড়ুন : আফটার শক বাংলাদেশে: শনিবার ফের কেঁপে উঠল বাইপাইল

সাম্প্রতিক সময়ে বারবার বাংলাদেশের নরসিংদী এলাকা কেঁপে ওঠায় নতুন করে চিন্তার ভাঁজ আবহাওয়াবিদদের কপালে। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, নরসিংদী এলাকা ভূত্বকের বার্মা পেল্ট (Burma plate) ও ভারতীয় প্লেটের (Indian plate) সংযোগস্থলে অবস্থিত। এই দুই প্লেটে সাম্প্রতিক সময়ে বারবার ঘর্ষণের ফলে ভূমিকম্প সৃষ্টি হচ্ছে। তবে বারবার সংঘাতে আরও বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা দেখছেন আবহাওয়াবিদরা।

–

–

–

–

–

