সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত বলে দিয়েছে সোনালি বিবিরা ভারতীয় নাগরিক। কেন্দ্রীয় সরকারকেই তাঁদের ফেরানোর উদ্যোগ নিতে হবে। কিন্তু তারপরও নিষ্ক্রিয় কেন্দ্র। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অভিষেক বলেন, এই সরকার এতই স্বৈরাচারী যে এরা আদালতকেও মানে না! আদালত বলার পরও তারা কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না।
বীরভূমের পাইকর গ্রামের আদি বাসিন্দা, পরিযায়ী শ্রমিক ও ভারতের নাগরিক সোনালি বিবির (Sonali Bibi) ভারতে ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল। এদিন বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের আদালত ৫,০০০ টাকার বন্ডে সোনালি বিবি এবং তাঁর সঙ্গী আরও ৫ জন ভারতীয়র জামিন মঞ্জুর করে। বুধবার ৩ ডিসেম্বর এই আদালতেই সশরীরে হাজিরা দিতে হবে সোনালি বিবিদের৷ তারপরেই জানা যাবে, কবে তাঁরা ভারতে ফিরতে পারবেন।

অভিষেক বলেন, এই সরকার এতই স্বৈরাচারী যে এরা আদালতকেও মানে না! আদালত বলার পরও তারা কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। একই ভাবে আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরও তারা একশো দিনের কাজ শুরু করতে দিচ্ছে না বাংলায়।
আরও খবর: ১ কোটি নাম বাদ? ছাব্বিশের ভোটে বাংলায় তৃণমূলের আসন-ভোট দুটোই বাড়বে: বিজেপি-কে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

দিল্লিতে কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিক ও ভারতীয় নাগরিক সোনালি (Sonali Bibi) ও তাঁর স্বামী বাংলায় কথা বলায় তাঁদের ‘বাংলাদেশি’ বলে দেগে দিয়ে গত জুন মাসে প্রথমে আটক করে দিল্লি পুলিশ। আটক করা হয় মোট ৬ জনকে। তাঁদের মধ্যে সোনালি বিবির সন্তানও রয়েছে। পরে তাঁদের অসম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তর এজলাসে সোনালি বিবিদের দেশে প্রত্যাপর্ণের মামলাটি মেনশন করেন আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে। অবিলম্বে অন্তঃসত্ত্বা সোনালিকে দেশে ফেরানো হোক, তাঁর বাবা বদু শেখের তরফে এই আর্জি জানান আইনজীবী হেগড়ে৷ বুধবার তাঁরা এই মামলা শুনবেন বলে জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে তিনি বলেন, আমরা এই বিষয়ে আজই কোনও নির্দেশ জারি করছি না৷ আপনারা দেখুন, কত দ্রুত পদক্ষেপ করা যায়।

–

–

–

–

–

–

