শুধুমাত্র বাংলা বলায় বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনওভাবেই কাজ করতে দেওয়া হবে না, এটাই যেন মোহন মাঝি শাসিত ওড়িশায় (Odisha) দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিদিন সেখানে গড়ে একজন বাঙালি হেনস্থার মুখে পড়ছেন। এবার মালদহের (Maldah) শ্রমিককে (migrant worker) মার খাওয়া অবস্থায় কোনওমতে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হল বাংলার প্রশাসনের তৎপরতায়। রুটিরুজির চিন্তায় পড়া পরিবারের পাশে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

মালদহের কালিয়াচকের মারুপুর গ্রামের বাসিন্দা শুকুরুদ্দিন মোমিন। ১৯ নভেম্বর ওড়িশায় গিয়েছিলেন তিনি। ভুবনেশ্বরে বাড়ি বাড়ি ফেরি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করতেন তিনি। অভিযোগ, ২৩ ডিসেম্বর ভুবনেশ্বরের (Bhubaneswar) কিছু স্থানীয় বাসিন্দা বাংলায় কথা বলার কারণে তাঁকে বাংলাদেশি (Bangladeshi) বলে সন্দেহ করে। এরপর কোনও রকম যাচাই না করেই বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। শুকুরুদ্দিন তাঁর আধার কার্ড ও পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিক কার্ড দেখালেও তা মানতে চায়নি অভিযুক্তরা। মারধরের পর তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং থানায় আটক রাখা হয়।

পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে কালিয়াচক থানায় (Kaliachak police station) অভিযোগ জানান। রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় পরিবারের লোকজন ওড়িশায় গিয়ে শুকুরুদ্দিনকে উদ্ধার করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি বাড়িতে শয্যাশায়ী। চার মেয়ে ও দুই ছেলের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যের এমন অবস্থায় পরিবার চরম সংকটে।
আরও পড়ুন : নতুন করে বাঙালিরা আক্রান্ত বিজেপি রাজ্যে: এখনও রাজ্যের বিরোধীরা চুপ, প্রশ্ন তৃণমূলের

সোমবার দুপুরে আহত শুকুরুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করতে যান মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য কমিটির সদস্য কুরবান শেখ। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আখতারুল মোমিন পরিবারের সঙ্গে দেখা করে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন এবং ভবিষ্যতে যাবতীয় সহায়তারও আশ্বাস দেন।

–

–

–

–

–


