প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির শেষকৃত্যে দেশের প্রথমসারির প্রায় সব নেতা-মন্ত্রী হাজির ছিলেন। কিন্তু সেখানেই ঘটে গিয়েছে এক নজিরবিহীন ঘটনা। মোবাইল ফোন গিয়েছে চুরি! আর তাতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। মোবাইল ফোন চুরি হয়ে গিয়েছে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়–সহ 11 জনের। পর পর এই চুরি ঘটলেও কেউ কেন টের পেলেন না? এই চুরির পেছনে কী কোনও চক্র কাজ করল? নাকি দলের কেউ–ই এই কাজে যুক্ত? গত রবিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে অরুণ জেটলির শেষকৃত্যের সময়।

জানা গিয়েছে, বাবুলের পাশাপাশি মোবাইল খোয়া গিয়েছে পতঞ্জলী মুখপাত্র এমজে টিজারাওয়ালার। তিনিই টুইটারে মোবাইল চুরি যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনেন। তিনি লেখেন, ‘আমরা তখন অরুণজিকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাচ্ছিলাম। যে ফোনে অরুণজির ছবি তুলেছি, সেটাও আমাকে শেষবারের মতো বিদায় জানিয়ে দিল। খুব দুঃখের ব্যাপারে যে অপরাধীরা শ্মশানকেও ছাড়ে না। সুযোগ পেলে সেখানেও জিনিসপত্র চুরি করতে নেমে পড়ে।’

বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দিল্লি পুলিশকেও জানানো হয়েছে। পুলিশকে আলাদাভাবে অভিযোগ জানান বাবুলও। এখনও পর্যন্ত পাঁচটি অভিযোগ জমা পড়েছে মোবাইল চুরির ঘটনায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু সেখানে কড়া নিরাপত্তা ছিল। তাহলে সেখানে এতগুলি মোবাইল পর পর চুরি হল কী করে? তা নিয়ে এখন ধন্ধে দিল্লি পুলিশ প্রশাসনও।

আরও পড়ুন-এই কারণে বিমানবন্দরের টার্মিনালের রাস্তায় ভিআইপিদের জন্য পৃথক লেন