Sunday, November 9, 2025

শোভন, মুকুলের সৌজন্যেই আজ নারদের কাদা বিজেপির গায়ে, তবু যে প্রশ্নগুলো উঠবেই

Date:

দল ভাঙিয়ে দল বাড়াও। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির জন্য এমনই নিদান দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। আর তা মানতে গিয়ে সাপের ছুঁচো গেলার মত অবস্থা হয়েছে এরাজ্যের বিজেপি নেতা-কর্মীদের। একসময় যাদের জেলে পোরার দাবিতে শ্লোগান উঠেছে, এখন তাদেরই মালা পরিয়ে সম্বর্ধনা দিতে হচ্ছে! এতদিন তৃণমূলকে চোরেদের দল বলার পর সেই তথাকথিত চোরেরাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ঢুকে কীভাবে পটাপট সাধু হয়ে যাচ্ছেন তা এরাজ্যের অতি বড় বিজেপি সমর্থকেরও মাথায় ঢুকছে না। ধরা যাক আজ যদি নারদ ঘুষকান্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিজেপিকে পথে নামতে হয় তাহলে তারা কি ফিরহাদ, মদন, সৌগত, সুব্রত ও অন্যান্যদের সঙ্গে শোভন, মুকুলেরও শাস্তির দাবি তুলবে? প্রকাশ্যে তা করার হিম্মত হবে রাজ্য বিজেপির? নাকি শোভন, মুকুলের সৌজন্যে স্বেচ্ছায় নারদের কাদা গায়ে মেখে বিজেপি এখন নারদ দুর্নীতির ইস্যুকেই ভুলে যেতে চাইছে? এবং তাতে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তৃণমূলকে আক্রমণ করার এত বড় একটা হাতে গরম ইস্যু হাতছাড়া হলেও কিছু করার নেই!

2016-র সেই দৃশ্যটা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি সচেতন প্রতিটা মানুষেরই এখনও স্মরণে থাকবে। বিজেপি রাজ্য দফতরের প্রজেক্টারে সাংবাদিকদের ডেকে নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজ দেখাচ্ছিলেন বিজেপির তৎকালীন রাজ্য পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিং। রাজ্যের প্রথম সারির নেতা, মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধিদের এভাবে ঘুষ নেওয়ার দৃশ্য অন্য রাজ্যে আকছার ঘটলেও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে ওটা একটা বেনজির কান্ডই ছিল। সেদিন সিদ্ধার্থনাথের পাশে বসে বা পরেও বিভিন্ন চ্যানেলের টক-শোতে নারদ নিয়ে প্রচুর লম্বাচওড়া কথা বলে আক্রমণ করতেন যে ব্যক্তি, তাঁর নাম জয়প্রকাশ মজুমদার। তৎকালীন মেয়রের তোয়ালে মুড়ে টাকা নেওয়া নিয়ে এই ব্যক্তি যা যা বলেছিলেন তা সেসব চ্যানেলের আর্কাইভেই পাওয়া যাবে। 2016 থেকে 2019। তোয়ালে মুড়ে টাকা নেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায় আদালতে নির্দোষ প্রমাণ হওয়ার আগেই সেই জয়প্রকাশই এখন বিজেপিতে নারদ অভিযুক্তের প্রধান সূত্রধর! তাহলে এখন তাঁর উচিত অতীতের বলা কথাগুলি প্রকাশ্যে প্রত্যাহার করা এবং দুর্নীতি ইস্যুকে বিজেপি যে অন্য দল ভাঙানোর অস্ত্র হিসাবে কাজে লাগাচ্ছে তা স্বীকার করা। জয়প্রকাশবাবুদের মত জনভিত্তিহীন নেতাদের “রাজনীতিতে বিশ্বাসযোগ্যতা”-র গুরুত্ব নিয়ে মাথাব্যথা নাই থাকতে পারে, কিন্তু যাঁদের তা আছে তাঁরা চুপ কেন? নারদ ইস্যুতে শোভন-মুকুলের দায় নিতে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলা হাতিয়ারটাই শুধু ভোঁতা হয়নি, নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করেছে বিজেপি।

 

Related articles

বালিচকের প্লাটফর্মে ধাক্কা মালগাড়ির, অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

রবিবার সকালে খড়্গপুর ডিভিশনে রেল দুর্ঘটনা। নটা নাগাদ বালিচক স্টেশনে বিকট আওয়াজে একটি মালগাড়ির ইঞ্জিন ধাক্কা মারে প্ল্যাটফর্মে।...

তারকেশ্বরে শিশুকন্যাকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতন, গ্রেফতার দাদু!

চার বছরের ঘুমন্ত শিশুকন্যাকে মশারি কেটে বের করে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন। তারকেশ্বর স্টেশন (Tarkeswar Station) সংলগ্ন ড্রেন...

রবিবাসরীয় সকালে চাঁদনী চকের CESC অফিসের ট্রান্সফর্মারে বিস্ফোরণ!

সাতসকালে মহানগরীতে ফের অগ্নিকাণ্ড (Fire incident in Kolkata)। সকাল ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ চাঁদনী চকের CESC অফিসের একটি...

গ্রিন লাইনে ট্র্যাফিক ব্লক, রবির শেষ মেট্রোসূচিতে বদল!

ছুটির দিনে মহানগরীর পাতাল পরিষেবায় বদল। হাওড়া ময়দান - সেক্টর ফাইভ (Howrah Maidan to Sector V) রুটে শেষ...
Exit mobile version