NRC নিয়ে গাছ এবং গাছের তলা, একসঙ্গে কি দু’টোই ‘কভার’ করতে চাইছে বিজেপি ?

প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সভাপতি সকলেই অসমের NRC নিয়ে গদগদ। ওদিকে অসমের অন্যতম বিশিষ্ট বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শনিবারই কড়া ভাষায় NRC-র সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
শনিবার অসমে চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি প্রকাশিত হওয়ার পরে কার্যত বেকায়দায় পড়েছে বিজেপি। চূড়ান্ত NRC-তে বাদ গিয়েছেন অসমের 19 লক্ষ মানুষ। ‘বিদেশি-খেদাও’ নয়, প্রকাশিত তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে লাখো ভারতীয়। বিজেপি-শাসিত এই রাজ্যে কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধে ঢালাও অনাস্থা প্রকাশও শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ওই রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা এই NRC-র সমালোচনা করে দায় এড়াতে চাইছেন। অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও আছেন তাঁদের মধ্যে। তিনি এদিন বলেন, “আমি জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে আদৌ আগ্রহী নই। NRC বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে অনেক গলদ থেকে গিয়েছে। NRC-র প্রক্রিয়া তদারক করছে সুপ্রিম কোর্ট। আমরা সুপ্রিম কোর্টেই আবেদন জানাব যাতে গলদগুলি দূর করা যায়”।
চূড়ান্ত NRC-তে দেখা যাচ্ছে, খসড়া নাগরিকপঞ্জি থেকে যাঁরা বাদ গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে 3 কোটি 11 লক্ষ মানুষকে চূড়ান্ত তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, NRC-র খসড়া প্রকাশের পরেই আমরা ওই তালিকার ওপরে আস্থা হারিয়েছিলাম। কারণ তাতে অনেক ভারতীয়ের নাম বাদ পড়েছে। এরপরে কীভাবে বলা যায়, এই জাতীয় নাগরিকপঞ্জি অসম থেকে বিদেশি বিতাড়নে সাহায্য করবে? এই মন্ত্রী বলেছেন, NRC-তে দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত দক্ষিণ সালমারা এবং ধুবড়ি জেলা থেকে মানুষ বাদ পড়েছে সবচেয়ে কম। কিন্তু ভূমিপুত্র জেলায় বাদ পড়ার হার খুবই বেশি। এমনটা কী করে হয়?
অবস্থা বেগতিক দেখে
কেন্দ্রীয় সরকার অসমের মানুষকে আশ্বাস দিয়ে বলেছে, NRC থেকে বাদ পড়া মানেই কাউকে বিদেশি বলে তাড়িয়ে দেওয়া হবে না। কেউ বাদ পড়লে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারেন।
