অন্য দলের কোনও নেতা-কর্মী যে উদ্দেশ্য নিয়েই বিজেপিতে আসুন না কেন তাঁকে স্বাগত জানাতে হবে। শেষ পাতের চাটনি মনে করে দূরে ঠেলে দিলে হবে না। পশ্চিমবঙ্গের সংগঠন বাড়ানোর বৈঠকে দলীয় সতীর্থদের এই পরামর্শই দিলেন এরাজ্যে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। দলের আদি নেতাদের যখন অন্য দল ছেড়ে আসা নেতাদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছিলেন কৈলাস, তখন তাঁর পাশে বসেছিলেন তৃণমূলত্যাগী মুকুল রায়ও। ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, অরবিন্দ মেনন, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। সংগঠন বাড়াতে তৃণমূল ও অন্য দল ভাঙাতে যে তাঁরা খুবই উৎসাহী এবং দল ভাঙিয়ে সংগঠন বাড়ানোর ফর্মূলায় তাঁরা যে তৃণমূলেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চান তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন কৈলাস। এমনকী তৃণমূলে থাকাকালীন আদায়-কঁচকলায় সম্পর্ক থাকা মুকুল রায় ও অর্জুন সিং দুজনকে নিয়ে সাংগঠনিক লাভ হয়েছে বলে মনে করেন কৈলাস। তিনি বলেন, দল বড় করতে হলে মন বড় করতে হবে। অন্য দল থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁদের আপন করে নিতে হবে। কিন্তু এ নিয়ে দল একমত নয় বলে একাধিক সূত্রে খবর। যারা এতদিন বিজেপিকে তুলোধোনা করে এসেছে অনেকে তাদের রাতারাতি নেতা মানতে নারাজ।

কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কথা থেকে পরিষ্কার, তাঁরা তৃণমূলকে ভাঙানো অব্যাহত রাখবেন। একইসঙ্গে আদি নেতাদের সঙ্গে দলবদলুদের মানিয়ে নেওয়ার আবেদনে স্পষ্ট, অন্য দল থেকে লোকজন আসছে ঠিকই, কিন্তু বহুক্ষেত্রে তেলে-জলে মিশ খাচ্ছে না।

