“কোনও আঞ্চলিক ভাষার ওপরে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার কথা আমি বলিনি। এই নিয়ে কেউ যদি রাজনীতি করতে চাইলে করতেই পারে।” বুধবার একথা বলেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির জাতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

এই শাহ’ই হিন্দি দিবসে বলেছিলেন, “হিন্দি হল ভারতের ঐক্যরক্ষাকারী ভাষা। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যে ভাষা বোঝেন, সেটি হলো হিন্দি”। এবং এই উক্তি নিয়ে দেশজুড়ে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। শাহ টুইটেও বলেছিলেন, ভারতে বহু ভাষা প্রচলিত আছে। প্রত্যেক ভাষার নিজস্ব গুরুত্ব আছে। কিন্তু একটি সাধারণ ভাষাও থাকা দরকার যা বহির্বিশ্বে ভারতের পরিচিতি হয়ে উঠবে। যদি একটি ভাষা ভারতকে ঐক্যের সূত্রে বাঁধতে পারে, তবে তা হল হিন্দি।সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ যে ভাষা বোঝেন, তা হল হিন্দি”। এরপর বিতর্ক আরও জোরদার হয়। ধারণা হয়, সরকার অহিন্দিভাষীদের ঘাড়ে জোর করে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দিতে চাইছে।

বুধবার অমিত শাহ নিজেই এই ধারনার প্রতিবাদ করে বলেছেন, “আমি কখনই বলিনি, কোনও আঞ্চলিক ভাষার ওপরে হিন্দি চাপিয়ে দিতে হবে। আমি শুধু অনুরোধ করেছিলাম, মাতৃভাষার পাশাপাশি হিন্দিও দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে শেখা উচিত”।
শাহ স্বীকার করেন, “আমি নিজেই তো গুজরাতের মানুষ। সেটি অহিন্দিভাষী রাজ্য। তাহলে আমি কেন এসব বলবো? কেউ যদি রাজনীতি করতে চায়, করতেই পারে।
