হঠাৎ মোদি-মমতা বৈঠক কেন? কটাক্ষ বাম, কংগ্রেসের

দিল্লিতে মোদি-মমতা বৈঠক। আর তা নিয়ে সরগরম রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক শিবির। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি বৈঠকে নিমন্ত্রণ পেয়েও যান না, রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে তিনি দিল্লি গেলেন কেন? কেনই বা বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে? প্রশ্ন তুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে আসবেন বলেছিলেন, বুধবার তিনিই কোল ব্লকের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেন। বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটি সরকারি বৈঠক। সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন, এটা যদি সরকারি বৈঠকই হত, তাহলে সেখানে সরকারি আমলারা উপস্থিত থাকলেন না কেন? কেনই বা পেশ করা হল না কোনও সরকারি নথি? বামনেতার অভিযোগ, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে নিয়ে আলোচনা করতেই গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন আলোচনার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সঙ্গে দেখা করবেন বলে মত বাম নেতার। আর সেটাকে ঢাকতেই এইসব প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে কটাক্ষ সুজনের। বামেদের সুরে সুর মিলিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর মতে, সরকারি বৈঠক নয়, রাজনৈতিক কারণেই মোদির সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিবৃতি দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, বৈঠকের বিষয় নিয়ে দিল্লি যাওয়ার আগেই স্পষ্ট করা উচিত ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, দিলীপ ঘোষের উচিত প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে দিল্লিতে ঠিক কী বিষয়ে বৈঠক হয়েছে, তা নিয়ে স্পষ্ট জানানো।

এনআরসি নিয়েও সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, এনআরসির বিরোধিতায় পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা জানান, এটা অসমের বিষয়ে। হঠাৎ এই পরিবর্তন কেন? প্রশ্ন তোলেন সুজন। একই প্রশ্ন কংগ্রেস নেতাদেরও। রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদি-মমতা বৈঠক রাজ্যে অন্য বিরোধীদলকে আরও কোণঠাসা করে দিতে পারে বলে আশঙ্কাতেই সরব হয়েছে তারা।

আরও পড়ুন-পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ হবেই, প্রত্যয়ী বিদেশমন্ত্রী

 

Previous articleচ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুরুতেই পয়েন্ট নষ্ট বার্সার, হার লিভারপুল-চেলসির
Next articleহিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার কথা বলিনি, বিতর্কে জল ঢাললেন অমিত শাহ