মিনি ডার্বিতে হার, লিগ অধরাই থেকে গেল মোহনবাগানের

 

মহমেডান: 3 (ওমোলো, তীর্থঙ্কর, চিডি)

মোহনবাগান: 2 (বেতিয়া, চামোরো)

বাগান কোচ কিবু ভিকুনার স্বপ্ন ভেঙে দিলেন মহমেডান কোচ দীপেন্দু বিশ্বাস। চাপের মুখে মুখ থুবড়ে পড়ল কিবু ভিকুনার ছেলেরা। মিনি ডার্বিতে ‘রক্ষণহীন’ সবুজ-মেরুন শিবিরকে হারিয়ে দিল মহমেডান। রক্ষণের ফাঁক-ফোকরের খেসারত দিতে হল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে। মহমেডানের কাছে 2-3 গোলে হেরে এ বারের মতো ঘরোয়া লিগ জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল মোহনবাগানের।

শুরু থেকেই আক্রমণ শানাতে থাকে মহমেডান। সাত মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে ফিরতি বলে গোল করে মহমেডানকে এগিয়ে দেন করিম। তার চার মিনিট পরেই দ্বিতীয় ধাক্কা। 11 মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান গত মরশুমে বাগানে খেলে যাওয়া তীর্থঙ্কর সরকার। প্রথম 15 মিনিটে মোহনবাগান আরও গোল খায়নি সেটাই ভাগ্যের ব্যাপার।

এরপর ম্যাচে ফেরার চেস্টা করে মোহনবাগান। কিন্তু এদিন মেরিনার্সদের আক্রমণে সেই ‘ফ্লেভার’টা ছিল না। তা হলেও 25 মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে বাঁক খাওয়ানো ফ্রি কিকে গোল করে ব্যবধান কমান সেই বেতিয়া। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। 1-2 ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে বাগান।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করার চেষ্টা করে সবুজ-মেরুন শিবির। কিন্তু লাভ হয়নি। উল্টে গোল খেতে হয়। 61 মিনিটের মাথায় বাগান ডিফেন্সের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে মহামেডানের হয়ে তিন নম্বর গোল করে যান জন চিডি। তারপরে শেষ তাস হিসেবে ভিকুনা নামান সালভাদর মার্টিনেজ পেরেজকে। 70 মিনিটের মাথায় ব্যবধান কমান সেই পেরেজ।

তারপর আর গোল আসেনি। অনেক চেষ্টা করেও ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেননি সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা।

এদিনের হারের ফলে 7 ম্যাচে 14 পয়েন্টেই দাঁড়িয়ে রইল মোহনবাগান। অন্যদিকে, মহমেডান 16 পয়েন্ট নিয়ে চলে গেল দ্বিতীয় স্থানে। এদিনের হারের ফলে মোহনবাগানের লিগ জয়ের আশা কার্যত শেষ। অন্যদিকে, মহমেডান এখনও লিগ জয়ের আশা জিইয়ে রাখল।

Previous articleযাদবপুর কাণ্ডের নিন্দা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির
Next articleহিউস্টনে ট্রাম্পের হয়ে যেন ভোটের প্রচার সারলেন মোদি!