দম্পতির পচাগলা দেহ উদ্ধার

দম্পতির পচাগলা দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল সোদপুর পূর্ব পানশিলা সাধুর মোড়ে পশুপতি আবাসনে। দোতলার ফ্লাটে সস্ত্রীক থাকতেন সৌমিত্র মুখোপাধ্যায়। 4  দিন আগে তাঁদের কে বা কারা খুন করে সোনার গহনা সহ মূল্যবান জিনিষ লুট করে পালায় বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে দুর্গন্ধে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। যান পানিহাটি পুরসভার 19 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার সুভাষ চক্রবর্তী। পুলিশ গিয়ে দরজার তালা ভেঙে দম্পতির পচাগলা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। দেহ দুটিতে এতটাই পচন ধরেছে যে কীভাবে খুন করা হযেছে তা বোঝা যাচ্ছে না। সৌমিত্র প্রাইভেট টিউশন করতেন। তিনি ও তাঁর স্ত্রী মনা পাড়ায় বিশেষ মেলামেশা করতেন না। পুলিশ সূত্রে খবর, 4 দিন আগে সৌমিত্রর ফ্লাটে যান কয়েকজন। খাওয়া দাওয়া হয়। তারপর আগন্তুকরা সৌমিত্র ও তাঁর স্ত্রীর উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। ওদের দুজনকে সম্ভবত শ্বাসরোধ করে খুন করে লুটপাট চালানো হয়। আলমারিতে রাখা সোনার গহনা, এমনকী, মৃতার গায়ের গহনাও খুলে নেওয়া হয়। এরপর খুনিরা ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এদিন সকালে খড়দহ থানার পুলিশ গিয়ে দরজার তালা ভেঙে দেখে ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে সৌমিত্রর দেহ। আর তাঁর স্ত্রীর দেহ খাটের তলায়। সারা ঘর লন্ড ভণ্ড। আলমারি খোলা । প্রচুর খাবার ছড়িয়ে  ছিটিয়ে রয়েছে। এর থেকেই পুলিশের ধারনা, খুনিরা সৌমিত্রদের পরিচিত। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন – ডবল সিলিন্ডার? সাবধান হোন

Previous articleচুঁচুড়ার ষণ্ডেশ্বরতলায় 400 বছর ধরে চটের পটচিত্রে দুর্গাপুজো হয়
Next articleবাড়িতে সিবিআই, যা বললেন মুকুল