যাদবপুরে সিপিএমের বুক স্টলে আকর্ষণের কেন্দ্রে বুদ্ধদেবের “স্বর্গের নিচে মহাবিশৃঙ্খলা”

মহাষ্টমীতে তিলোত্তমায় তিল ধারণের জায়গা নেই। অভিনব মণ্ডপ-প্রতিমা, আলোর মেলা, রকমারি পোশাকে আট থেকে আশি উৎসবে মজে। তখন কিছুটা ব্যতিক্রমী যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ড চত্বর। এখানে সিপিএমের বুক স্টল ঘিরে মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে। মার্কসীয় ও শিশু প্রগতিশীল সাহিত্য সম্ভারের এই বুক স্টলে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-এর লেখা “স্বর্গের নিচে মহাবিশৃঙ্খলা” শীর্ষক বইটি। অসুস্থ শরীর নিয়েই বইটি লিখেছেন বুদ্ধবাবু।

তবে সিপিএমের বুক স্টল হলেও শুধু রাজনৈতিক বই নয়, সবরকম সাহিত্য, বিশেষত শিশু সাহিত্যের দারুণ সম্ভার রয়েছে এখানে। তাই সিপিএম সমর্থন নয়, কিন্তু একজন বইপ্রেমী হিসেবেও অনেক মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন স্টলটিতে। তাঁদের বক্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগেও বই সংস্কৃতি ভালো লাগে বলে এখানে এসেছেন তাঁরা।

এই স্টলের বইগুলির মধ্যে মূল আকর্ষণ অব্যশই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-এর স্বর্গের নিচে মহাবিশৃঙ্খলা, এছাড়াও যে বইগুলি নজর কেড়েছে তার মধ্যে অন্যতম অনিন্দ্য ভুক্ত-এর
“ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন”, “নতুন চিঠি” নিরুপম সেন সংখ্যা, শুভেন্দু মজুমদারের “অগ্নিযুগের চিঠি”, সুজন চক্রবর্তীর “মুখ্যমন্ত্রীকেই বলছি” ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে সন্দেশ: সেরা উপন্যাস সংকলন, সন্দেশ: সেরা গল্প সংকলন, সুকান্ত সমগ্র।

রয়েছে আশাপূর্ণ দেবী, বুদ্ধদেব গুহ, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক নামকরা লেখকের বই। যার সঙ্গে দূর দূর পর্যন্ত রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

এদিন বুক স্টলে এসেছিলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-এর লেখা “স্বর্গের নিচে মহাবিশৃঙ্খলা” বইটি কোন আঙ্গিকে লেখা, সে বিষয়ে বিশদে জানান তিনি। যাদবপুরে গবেষণা করা এক প্রবাসী মার্কিনিকে দেখা গেল বেশ কিছু বই কিনতে। সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজেও জমজমাট যাদবপুরে সিপিএমের বুক স্টল।