হাড়দার লক্ষ্মীপুজোতে পেল্লাই জিলিপি

বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো হলেও বিনপুরের হাড়দা গ্রামে লক্ষ্মীপুজো ঘিরে শারদোৎসবের আনন্দ। এখানে লক্ষ্মী ও সরস্বতীর যুগল আরধনা হয়। বছরের পর বছর চলে আসছে এই প্রথা। লক্ষ্মী ও সরস্বতীর পাশপাশি, লক্ষ্মীপতি নারায়ণ ও দুই দেবীর চারজন সখীরও পুজো করা হয়। এবার পুজোর ১৫৮তম বছর। এই লক্ষ্মী পুজোয় হাড়দার জিলিপির খ্যাতিও জগৎ বিখ্যাত।

পুজোর সময় একটি মাত্র দোকানই নিলামের মাধ্যমে জিলিপি বিক্রি করার অনুমতি পায়। নিয়ম অনুযায়ী, সমস্ত মানুষ ওই একটি দোকান থেকেই জিলিপি কেনেন। চাল ও বিউলির ডালের তৈরি এই জিলিপির স্বাদও সম্পূর্ণ আলাদা।
স্থানীয়দের মতে, লক্ষ্মীপুজোয় বিনপুরের হাড়দা গ্রামের জিলিপির কথা শোনেননি এমন মানুষ নাকি নেই। প্রকাণ্ড মাপের রসে ভরা সেই জিলিপির চলও নাকি অনেক কাল আগে থেকেই। হাড়দাবাসীর বিশ্বাস, জিলিপির রসে মিশে থাকে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ। তবে, দেবীর নৈবেদ্যে অবশ্য জিলিপির ঠাঁই নেই।
কিন্তু কে জিলিপি বানাবেন? সে নিয়ে আগাম নিলাম ডাকে পুজো কমিটি। যিনি সর্বোচ্চ দর দেন, কেবলমাত্র তিনিই মেলায় প্রসাদী জিলিপির দোকান করতেন পারেন। মেলার পাঁচদিন একমাত্র ওই দোকানেই জিলিপি বিক্রি হয়। বিউলি ডালের গুঁড়োর সঙ্গে আতপ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে তৈরি হয় বিশেষ ধরনের এই জিলিপি। বছরে মাত্র একবার। নিয়ম অনুযায়ী, কোজাগরীর পরে প্রতিপদ থেকে এই জিলিপি তৈরির কথা। তবে এখন লক্ষ্মীপুজোর দিনেই জিলিপি তৈরি শুরু হয়ে যায়।

Previous articleলক্ষ্মীপুজোয় রাসচক্র নির্মাণ শুরু আলতাফ মিঞার
Next articleভোটের মুখে নাম বদলের প্রস্তাব বিধাননগর পুরনিগমের