পেশাদার খুনিরাই জিয়াগঞ্জে অপারেশন সারে, জট খুলছে ৪৮ ঘন্টাতেই!

জিয়াগঞ্জের ঘটনার পিছনে রহস্যের জাল ক্রমশ গুটিয়ে আনছে গোয়েন্দারা। তাঁরা নিশ্চিত খুনের পিছনে রয়েছে সুপারি কিলার। নিখুঁত হাতে তারা অপারেশন সেরেছে। সমস্ত চিহ্ন মুছেছে। তারপর বেরিয়ে গিয়েছে। খুন করার আগে রেইকিও করে। পুজোর প্রথম দুদিন বন্ধুপ্রকাশ, বিউটি ও পুত্র না থাকায় ধৈর্য হারাচ্ছিল তারা। নবমীর দিন বাড়ি ফিরতেই শুরু হয় অপারেশন। মৃতদেহ দেখে গোয়েন্দারা নিশ্চিত কোপানো হয়েছে বহুবার। ছিটকে এসেছে রক্ত। বাথরুমেই ধোওয়া হয়েছে রক্তের জামা-প্যান্ট। ঘরের জিনিসে হাত দেওয়া হয়নি। ধ্বস্তাধ্বস্তিতে কিছু জিনিস ওলটপালট হলেও তা সরিয়ে স্বস্থানে রাখা হয়েছে। রক্তের হাতের ছাপ সে কথাই প্রমাণ করছে। পুকুরের জলে টিশার্ট পাওয়া গেলেও খুন করা অস্ত্রের খোঁজ চলছে। আর ঘটনার দিন ছুটে বেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তিটি বন্ধুপ্রকাশের কোন পরিচিত, তার তদন্ত চলছে।

বন্ধু প্রকাশের যে বন্ধুকে আপাতত পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, সে এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধুপ্রকাশকে ভুল বুঝিয়েছে। লগ্নি করিয়েছে, বেআইনিভাবে টাকা তুলিয়েছে। কিন্তু কোনও টাকাই ফেরত পায়নি। শেষে তাকে সেই টাকা মেটাতে হয়েছে লোন করে। বাড়ির জন্য লোনের কিস্তিও মেটাচ্ছিলেন বন্ধুপ্রকাশের শ্বশুরমশাই। স্ত্রী বিউটিও সেই বন্ধুকে পছন্দ করত না। বন্ধুপ্রকাশের ফোন ধরাও বন্ধ করেছিল সে। বিউটি কথা বন্ধ করে দেয় শেষ ক’মাস। শেষে বন্ধুপ্রকাশ টাকা চাওয়া শুরু করতেই সম্ভবত খুনের পরিকল্পনা।

প্রশ্ন, যে চিঠি উদ্ধার হয়েছে তা কী আদৌ বিউটির হাতে লেখা, না, অন্য কারওর লেখা? নাকি জোর করে লেখানো? সিআইডি তদন্ত করছে। আশা ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই জট খুলে যাবে। নৃশংস খুনের পিছনে বন্ধুপ্রকাশের কোন বন্ধু, তা পরিস্কার হয়ে যাবে।

 

Previous articleফলো অনে নেমেও শুরুতে বিপর্যয় প্রোটিয়দের
Next articleকোজাগরীর আলো নেই সিঙ্গুরে