এপ্রিল অথবা মে-তে হতে পারে রাজ্যের 111 পুরসভার ভোট

আগামী বছরের এপ্রিল অথবা মে মাসে হতে পারে রাজ্যের 111 পুরসভার ভোট। এই পুরভোট কার্যত মিনি সাধারন নির্বাচনের চেহারা নেবে। কারন এই 111 পুরসভা ছড়িয়ে রয়েছে রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই। হাওড়া পুর নিগম-সহ 17 পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে লোকসভা ভোটের অনেক আগেই। কমিশনের তথ্য বলছে আগামী এপ্রিলে মেয়াদ শেষ হচ্ছে রাজ্যের আরও 92 পুরসভার। আর আগামী অক্টোবরেই শেষ হচ্ছে আসানসোল ও বিধাননগর পুর নিগমের। আইন বলছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার 6 মাস আগে ভোট করতেও কোনও অসুবিধা নেই। তাই এ বার একসঙ্গে 111 পুরসভায় ভোট করতে কোনও আইনি সমস্যা হবে না। মার্চেই শেষ হচ্ছে রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে এই দুই বড় পরীক্ষার কথা মাথায় রাখতে হয়। এমন ধরে নিয়েই রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুরভোটের প্রস্তুতির প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে।

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, এই পুরভোট ভোট কীসে হবে? EVM না ব্যালটে? এ ব্যাপারে এখনও সরকারের কোনও স্পষ্ট বার্তা না আসায় সমান্তরালভাবে দু’ক্ষেত্রেই তৈরি হচ্ছে কমিশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা ভোটের পরই জানিয়েছিলেন,রাজ্যের পুরভোটে আর EVM-এর ব্যবহার হবে না, রাজ্য ফিরবে পুরনো ব্যালট-প্রথাতেই। EVM-এর ওপর দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মতো রাজ্যের শাসকদলেরও আস্থা নেই। তবে ভোটগ্রহণ ব্যালট ফিরবে না EVM-এ থাকবে, সে বিষয়ে নবান্ন এখনও কিছু কমিশনকে জানায়নি।

কমিশন অবশ্য কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না। পুরভোটে ব্যালটে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিমতের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় ছড়িয়ে থাকা ব্যালট বক্সগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখার কাজ চালু করে দিয়েছে। 111 পুরসভার বুথ-বিন্যাসের পর ব্যালট পেপার কত লাগতে পারে তার হিসেবও করে চলেছে কমিশন। সূত্রের খবর, কমিশনের হাতে এই মুহূর্তে রয়েছে দেড় লক্ষ ব্যালট বক্স। এর মধ্যে 73 হাজার ব্যালট বক্স গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় কমিশন কিনেছে।
কমিশনের এক কর্তার বক্তব্য,পুরভোট ব্যালটে ফিরলেও এতসংখ্যক বক্সের দরকার হবে না। কারন কমিশন হিসাব করে দেখেছে, 111 পুরসভায় মোট বুথের সংখ্যা 17 হাজার 500-র কাছাকাছি।
ওদিকে কমিশনের হাতে EVM রয়েছে 18 হাজারের মতো। এই মেশিনগুলি কী অবস্থায় রয়েছে তা পরীক্ষার কাজ চলছে। যদি মুখ্যমন্ত্রী কখনও মতবদল করে EVM-এ আপত্তি না জানান, তাহলেও যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্যই EVMগুলিও দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-মোদির আর্থিক নীতিকে সর্বনাশা বলছে দলের শ্রমিক সংগঠন!