তেরঙ্গার ভিড়ে হারিয়ে যায়নি পদ্মাপাড়ের অতিথিরা

‘জিতেগা ভাই জিতে গা ইন্ডিয়া , জিতে গা’, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পা রেখেই শোনা যাচ্ছে স্লোগানটা। চারপাশে শুধু তেরঙ্গা আর তেরঙ্গা। তবে একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে পাওয়া যাচ্ছে সবুজ জার্সি পড়া বাংলাদেশি সমর্থকদেরও। গলায় বাংলাদেশের পতাকা ঝুলিয়ে স্টেডিয়াম চত্বরে হেঁটে বেড়াচ্ছে তারা। ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল থেকে আসা বেশ কয়েকজন সমর্থক তো প্রিয় দলের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

এই দর্শকেরা অনেকেই আগেভাগেই অনলাইনে ম্যাচের টিকিট কেটে চলে এসেছেন কলকাতায়। ভারতের বিপক্ষে জামাল ভূঁইয়ারা হতাশা করবেন না, এটিই সকলের আশা। তারা বলছেন, ‘শুধু ফুটবল ম্যাচটি দেখার জন্যই কলকাতায় আসা। ভারত আয়োজক হলেও বাংলাদেশও খারাপ করবে না। আমরা খুবই আশাবাদী।’

সব খেলার সেরা বাঙালির ফুটবল। আর কলকাতা ফুটবলের শহর। ভারতীয় ফুটবলের মক্কা। উনুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ। হালে দুই দলের শক্তির পার্থক্য যতই থাকুক না কেন, কলকাতায় ম্যাচ হওয়াটাই সাধারণ দর্শকদের তাতানোর জন্য যথেষ্ট। এর সঙ্গে আছে ইতিহাস। ৩৪ বছর পর যুব ভারতীতে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশ। কলকাতার মাঠে ভারতের জাতীয় দলই খেলছে প্রায় ৯ বছর পর। সব মিলিয়ে ফুটবল-জ্বরে কাঁপছে গোটা শহর।

সব মিলিয়ে সুনীল ছেত্রীদের বিপক্ষে জামাল ভূঁইয়াদের দুর্দান্ত এক লড়াই দেখার অপেক্ষায় সবাই। কলকাতার দর্শকদের উন্মাদনাও জানান দিচ্ছে জমজমাট এক ম্যাচের।

এ ম্যাচে ৬৫ হাজার টিকিট ছাপানো হয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ দর্শকদের জন্য বরাদ্দ ৪৫ হাজার টিকিট। যার ৩৫ হাজার টিকিট অনলাইনে ৩ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়েছে। ২০ হাজার টিকিট ভারতীয় ফুটবল সংস্থার বিভিন্ন রাজ্য সংগঠন ও রাজ্য সরকারের জন্য বরাদ্দ। তবে সেখান থেকেও সাধারণ দর্শকদের কিছু টিকিট বুথে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আকাশ প্রমাণ চাহিদার সামনে এই ক্ষুদ্র জোগানে কী আর কিছু হয়!

সবমিলিয়ে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে ম্যাচটি যেন হয়ে উঠেছে দুই বাংলার সেতুবন্ধন। এক নতুন ইতিহাসের সাক্ষী।

Previous article“বাস্তবে এনআরসি হবে না”, মতুয়াদের আশ্বাস বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের
Next articleরাজ্যপালের কাছে রাজ্যের পরিস্থিতি জানবেন রাষ্ট্রপতি, জানালেন বিজয়বর্গীয়