দিল্লি চিড়িয়াখানায় মুখোমুখি মানুষ ও না-মানুষ

কথায় বলে, রাখে হরি, মারে কে? এই প্রবাদটা দিল্লির চিড়িয়াখানায় যাওয়া যুবকটি জানতেন কি না জানা নেই। তবে সাহসে ভর করে সোজা পশুরাজের এনক্লোজারে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। এই উদ্যোগ নেওয়ার আগেই অবশ্য সেখানে থাকা দর্শকরা তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁকে দমিয়ে রাখা যাবে না- এই মনোভাব নিয়ে, কারও কথায় কান না দিয়ে একেবারে সটান সিংহের সামনে হাজির হন তিনি। তার সামনে গিয়ে “এলাম তোমার বাড়িতে, এইবার বসছি” বলে বসে পড়েন ধপাস করে। হঠাৎ করে একটা দু-পেয়েকে সামনে দেখে ভ্যাবাচাকা খেয়ে যান পশুরাজ। এদিক-ওদিক তাকিয়ে আশপাশ ঘুরে দেখেন। তবে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেননি। বোধহয় যোগ্য মনে করেননি তেমন।

এই অতিথি কিন্তু বেশ সাবলীল। সিংহের সামনে বহুদিনের পরিচিত বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা মারার ভঙ্গিতে কাত হয়ে শুয়ে পড়েন একসময়। এদিকে যুবকের কীর্তি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চিড়িয়াখানা চত্বরে থাকা দর্শকরা। ছুটে আসেন নিরাপত্তাকর্মীরাও। এর মাঝখানে দু-একবার পশুরাজ গর্জন করেননি তা নয়। একবার তেড়েও গিয়েছিলেন। তবে কোনও ক্ষতি করেননি। অবশেষে নিরাপত্তা কর্মীরা গিয়ে সেই যুবককে উদ্ধার করেন। তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় থানায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মানসিক সমস্যা রয়েছে ওই তরুণের। সে কারণেই তিনি অকুতোভয়। তবে স্মার্টফোনের যুগে এসব কথা তো আর শুধু গল্প হিসেবে থাকে না, ধরা পড়ে যায় মুঠোফোনে। সে রকমই ক্যামরাবন্দি হওয়া একটি ভিডিও সামনে এসেছে। মানুষ আর না-মানুষের মুখোমুখি হওয়ার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

আরও পড়ুন-শিক্ষিকা খুনে প্রকৃত অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে পথ অবরোধ

 

Previous articleশিক্ষিকা খুনে প্রকৃত অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে পথ অবরোধ
Next articleকুকথার জেরে সায়ন্তনকে আইনি নোটিশ সেলিমের