কালীপুজোর মাধ্যমে ফুটবল আবেগে বাঙালিকে ভাসালো তরুণ সংঘ: শমিত রায়

কালীপুজোয় শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল। কলকাতার বুকে কয়েকশো কালীপুজোয় এবার নজর টানছে এই বিশেষ ধরনের থিম। একটু অন্য স্বাদের, অন্য আবেগের, সব খেলার সেরা বাঙালির প্রিয় ফুটবলের। হ্যাঁ, উত্তর কলকাতার মানিকতলার রামমোহন রায় রোড তরুণ সংঘ-এর কালীপুজোয় এমনই ভাবনা উদ্যোক্তাদের। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এই এলাকাটি মোহনবাগান অধ্যুষিত বলেই পরিচিত। ফলে সেখানে এমন ভাবনা সত্যি ব্যতিক্রমী। এই ভাবনার মাধ্যমে যেমন বাঙালির ফুটবল আবেগকে তুলে ধরেছেন তরুণ সংঘের কর্মকর্তারা, একইভাবে শতবর্ষের আলোয় আলোকিত ঐতিহ্যশালী ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ও তাদের ফুটবল ইতিহাসকেও কুর্নিশ জানানো হয়েছে শ্যামা মায়ের আরাধনার মাধ্যমে।

তরুণ সংঘের উদ্বোধনে এসে যা দেখে আপ্লুত অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির আচার্য তথা রাইস এডুকেশন গ্রুপের কর্ণধার
শমিত রায়। নিজেকে একজন মোহনবাগান সমর্থক হিসেবে পরিচয় দিয়েও তিনি জানালেন, তরুণ সংঘের এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার যোগ্য। কালীপুজোয় তাদের এই ভাবনার মাধ্যমে বাঙালির হারিয়ে যাওয়া ফুটবল আবেগকে ফিরিয়ে আনার দারুন একটা প্রচেষ্টা করা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে বাঙালির ফুটবল ইতিহাস। যা আগামী দিনে বাংলা ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

শমিতবাবু জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, খেলাধুলার মাধ্যমে শরীর চর্চা হয়। যা পড়ুয়াদের মেধা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এবং তিনি নিজেও খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত।

কাজের সুবাদে তাঁকে বিভিন্ন সময় বিদেশে যেতে হয়। আর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যখনই কোনও বাঙালির সঙ্গে দেখা হয়, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, তখন তার মধ্যে একটা আলোচনা কিন্তু উঠেই আসে। তা হলো ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান, এমনটাই জানালেন শমিত রায়।

সুতরাং, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ছাড়া শুধু বাংলা নয়, ভারতীয় ফুটবলকে ভাবাই যায় না। আর কালীপুজোর মাধ্যমে বাঙালির সেই ফুটবল আবেগ ও ইতিহাসকে তুলে ধরায় খুশি শমিত রায়।

ছবি-প্রকাশ পাইন

আরও পড়ুন-বৃষ্টিস্নাত যুবভারতীতে দুরন্ত জয় এটিকের