কৌশলী মমতা ফিরিয়ে দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখীর আবেদন। একে অনেকেই বলছেন শ্যাম আর কুল, দুটিই রাখা হল। কিন্তু কোন আবেদন ফেরালেন মুখ্যমন্ত্রী?

ভাই ফোঁটার দিনে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন তাঁর বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে হাজির হন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। কাননের (শোভনের ডাক নাম) শরীর কেমন আছে জিজ্ঞাসা করতেই প্রাক্তন মেয়র জানান তাঁর সুগার হয়েছে। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছেন কিনা। এরপর আর একটি ঘরে ঢুকে তিনজনের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। সেই আলোচনাতেই বৈশাখী মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, তাঁর মেয়ের জন্মদিন ১ নভেম্বর। তিনি যদি আসেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর সেদিন গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। সময় হবে না। বৈশাখী জানান, পার্থদাকেও (শিক্ষামন্ত্রী) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন – বিশ্ব শহর দিবসে ট্যুইট মমতার

মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত থাকবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বৈশাখীর বাড়িতে গিয়ে মোটেই বিতর্ক তৈরি করতে চান না তিনি। ইতিমধ্যে শোভনের স্ত্রী রত্নাও সময়ের সাথে সাথে নিজেকে সংযত করে নিয়েছেন। একদিকে যেমন শোভনের শূন্যস্থানে নিজেকে রাজনীতির মানুষ হিসাবে গড়ে তুলছেন, তেমন বয়ান দেওয়ার প্রশ্নেও সাবধানী। ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি আক্রমণাত্মক তো ননই, বরং শোভনের দলে ফিরে আসার সম্ভাবনায় রত্না বোধহয় কোথাও একটা সামাজিক সমঝোতার পথও দেখছেন। বিচ্ছেদ মামলা চললেও শোভনকে ‘স্বামী’ বলে সম্বোধন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীও বিষয়টির উপর নজর রাখছেন। তাই শোভন-বৈশাখীকে যেমন নিজের কালীঘাটের বাড়িতে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তেমনি, বৈশাখীর মেয়ের জন্মদিনে না থাকার ইঙ্গিত দিয়ে রত্নার সেন্টিমেন্টকে মর্যাদা দিয়েছেন। হয়তো আগামিদেনের জন্য এটাই সেরা ফর্মুলা।

প্রমাণিত হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু দলের নেত্রী নন, এখনও অনেকের অভিভাবকও।

আরও পড়ুন – বল্লভভাই পটেলের জন্মবার্ষিকী ও ইন্দিরা গান্ধির মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য মুখ্যমন্ত্রীর
