
গত 10 বছর দিল্লিতে দিওয়ালি উৎসব দেখছি। অমাবস্যার রাতে চাঁদমামাকে দেখা যায় না কিন্তু দিনের সূর্যও যে ঢাকা পড়তে পারে সেটা বুঝতে পারছি ইদানীং। এটাই নাকি “দিল্লি কি দিলওয়ালো কি দিওয়ালি”।

দিওয়ালির পরে 15 দিন দিল্লির বাতাস ভারী থাকাটা অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এ বছরের অবস্থাটা দমবন্ধকর। এবার বাজি ব্যান শুনে ভেবেছিলাম, মাস্কটা কিনতে হবে না। দিওয়ালির সন্ধেটা বেশ শান্তিতেই কেটেছিল। তবে রাত বাড়ার সাথে সাথেই শুরু হয় শব্দ দূষণ। প্রচন্ড শব্দে প্রায় সারারাত ঘুমোতে পারিনি। পরের দিন দুপুরে অফিস যাওয়ার জন্য বেরোতেই অবাক হলাম, দুপুরে বেরিয়েছি না সন্ধে ছটা? চারদিক প্রায় অন্ধকার। সূর্যের আলোর ছিটেফোঁটাও নেই। এত নিয়ম-নিষেধের পরেও যখন ভারী বাতাসে নিঃশ্বাস আটকে যায়, তখন মনে হয় ভূতটা বোধহয় সর্ষের মধ্যেই আছে।
খবরে শুনলাম দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিবেশী রাজ্যের ফসল জ্বালানোর জন্যই না কি দিল্লি-দূষণ! নভেম্বর মাসে এটাই হবে। তাহলে কি নভেম্বর মাসে দিল্লির আমআদমি নিঃশ্বাস নেবে না? হাসি পায় অজুহাত দেখলে। স্কুল কলেজ না হয় বন্ধ, বন্ধ নির্মাণ কাজ। কিন্তু অফিস? সেটা তো যেতেই হবে। কীভাবে প্রতিনিয়ত এই বিষবায়ু ফুসফুসে নিয়ে যাতায়াত করব? সমাধানের উপায় কী? দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপ চলছে। কিন্তু দিল্লিবাসী বাঁচবে কী করে? সেটা নিয়ে কেউ ভাবছে? এর কোনও সমাধান আছে? অপেক্ষা করব সামনের বারের জন্য, শুনেছি “আচ্ছে দিন আয়েঙ্গে”।
