গীতা মাসির ভিজিটিং কার্ড

নাম গীতা কল। লোকে তাকে চেনেন গীতা মাসি বা গীতা বাঈ নামে। গৃহপরিচারিকা। কিন্তু তাঁর কথা কেন? কী করলেন তিনি? কিছুই নয়, শুধু ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে খবরে। তাঁর একটি কাজের বাড়ির গৃহকর্ত্রী ওই বিজনেস কার্ডটি বানিয়ে দেন। তারপর তা নেট দুনিয়ায় যেতেই ফোনের বন্যা তাঁর ফোন নম্বরে। একের পর এক কাজের অফার। গীতা মাসির সে পাগল হওয়ার জোগাড়।

ধনশ্রী শিন্ডের বাড়িতে কাজ করতেন গীতা। তো একদিন ধনশ্রী দেখেন তাঁর বাড়িতে মুখ কালো করে বসে আছেন গীতা। কারন কী? না, যে বাড়িগুলিতে কাজ করতেন, তার একটি বাড়ি থেকে বলা হয়েছে তাকে আর আসতে হবে না। শুধু তাই নয়, ওই বাড়িতে তাঁর ৪ হাজার টাকা বকেয়া ছিল, সেটাও মার গেল। তো ধনশ্রী ভাবলেন এভাবে যাতে আর ঠকতে না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা করা দরকার। বানিয়ে দিলেন ১০০টা ভিজিটিং কার্ড। তাতে আছে গীতার পরিচয়, আধার, ভোটার নম্বর। পরিচয় মিলিয়ে নিতে অসুবিধা নেই। এর সঙ্গে আবার আছে কোন কাজের জন্য কত পারিশ্রমিক। বাড়তি কাজের জন্য কত টাকা, সব কিছু। এই কার্ড ধনশ্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিতে রাতারাতি বিখ্যাত গীতাবাঈ। আর ফোনের পর ফোন। কাজের জন্য। পুণের গীতা মাসিকে এখন এক ডাকে চেনে সকলে।

আরও পড়ুন – বসিরহাট মহকুমায় বুলবুলের তাণ্ডবে বলি ৫