ফণীর সময় এইভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিল নিয়েছিলেন তাঁরা, বুলবুলের তার ব্যতিক্রম হল না। এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল বুলবুলের হানায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে তৈরি হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সসহ অন্যান্য কর্মীরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে আহতদের কীভাবে দ্রুত চিকিৎসা করা যায়, সে নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে সম্প্রতি একটি প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছিল বাঙ্গুর হাসপাতালে। স্বাস্থ্যকর্মীরা সেই প্রশিক্ষণ নিয়ে কার্যত হাতে-কলমে তৈরি হয়েছেন বুলবুলের ধাক্কা সামাল দিতে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেছেন, এই সমস্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে মূল যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হয় তাহল সমন্বয়। এখানে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় রাখার ওপর জোর দিয়েছি। ঘূর্ণিঝড়ে আহতদের জন্য 10 শয্যার একটি বিভাগ তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি ব্লাড ব্যাঙ্ক, অ্যাম্বুল্যান্স, ফার্মাসি, প্রত্যেকটি বিভাগকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে যেন প্রত্যেককে সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়। মূলত প্রাকৃতিক বিপর্যয় কোন ধরনের রোগীরা হাসপাতালে আসেন? হাসপাতালে কর্তারা জানাচ্ছেন মূলত দেওয়াল চাপা পড়ে আহত, গাছ ভেঙে আহত কিংবা বয়স্কদের ক্ষেত্রে ঝড়ে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যাওয়ার ঘটনা বেশি আসে।

সবমিলিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বুলবুলিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। আহতদের পাশে দাঁড়াতে বাঙ্গুর পরিষেবা নিয়ে তৈরি।