দূষণ রুখতে গাড়িতে যোগ নয়া ডিভাইস

বয়সে হয়তো সবার থেকে অনেক ছোট তবু তার মস্তিষ্ক চলে সবার আগে। এর আগেও তার সেভ নামক প্রজেক্টটি দেশের দরবারে বিশেষ সাড়া ফেলেছিল। এবার তার যুগান্তকারী আবিষ্কার সেভ পলিউট‍্যান্ট। প্রসঙ্গত, হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র অভিজ্ঞান কিশোর দাস মাত্র ১২ বছরের ছেলে। এই বয়সেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিজ্ঞানীমহলে। এই ছোট্ট মস্তিষ্কে এই অভিনব চিন্তাভাবনা ভারতীয় বিজ্ঞানকে অগ্রগতির পথ দেখাচ্ছে। গত ৫ থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত কলকাতার বিশ্ববাংলা ভবনে অনুষ্ঠিত পঞ্চম ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল সাইন্স ফেষ্টিভেল ২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু নামিদামি বিজ্ঞানীরা অংশগ্রহণ করে। আর সেইখানেই তার এই “সেভ পলিউট্যান্ট” নামক প্রজেক্টটি সেরা নির্বাচিত হয়। এই “সেভ পলিউট্যান্ট” প্রজেক্টির মাধ্যমে প্রত্যেকের গাড়ি থেকে নির্গত গ্যাসের দূষনমাত্রা জানা যাবে। মাত্রাতিরিক্ত দূষণ হলেই গাড়ির ইঞ্জিন সারানোর জন্য গাড়ির মালিকের মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে নির্দেশ চলে যাবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে গাড়ি না সারালে গাড়িটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য পুলিশের কাছে চলে যাবে। এবং মালিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে RTO দফতর টাকা কাটা শুরু করে দেবে। অবশেষে গাড়ির ইঞ্জিনও লক হয়ে যাবে।

চুঁচুড়া নারকেল তলার দম্পতি অনিন্দ্য কিশোর এবং প্রিয়াঙ্কার একমাত্র সন্তান অভিজ্ঞান জানায়, “বিশ্বকবির জুতো আবিষ্কারে অনেক রথী-মহারথী ধুলো সরানোর বুদ্ধি বাতলেছিলেন। কিন্তু এক মুচির মাথায় চিন্তা আসে সমগ্র পৃথিবী কেনো, মানুষের পা দুটি ঢাকলেই তো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আর বর্তমানে আমাদের দেশেই বায়ুদূষনের মাত্রা কীভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই আমি সেই মুচির ন্যায় ভাবলাম গাড়ি চললে দূষন হবেই, কিন্তু সেই দূষন নিয়ন্ত্রনে রাখতে গেলে যদি গাড়িতেই একটা ডিভাইস যোগ করে দেওয়া যায় তাতে মন্দ কী? তা থেকেই আমার এই ভাবনা।” ছেলের জয়ে খুশি তাঁর বাবা-মাও।

আরও পড়ুন-বিজেপির বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার রাজপথ

 

Previous articleএমবিএ-করার সুযোগ এবার ম্যাকাউট-এ
Next articleফের বিক্ষোভের মুখে বাবুল