ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য সুখবর। বিকল্প চাষের পরিকল্পনা তৈরি করছে রাজ্য সরকার। কৃষি দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে ক্ষয়ক্ষতির পরিস্থিতি দেখে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন। রিপোর্ট অনুসারে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের মোট ৯.১৫ লক্ষ একর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে। টানা দুদিনের বৃষ্টি এই ক্ষতি আরও বাড়িয়েছে। আমন ধান, আলু, আনাজ, ডাল, সর্ষে, ফুল, পান সব ফসলই ক্ষতি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান জমি।

১১ ও ১৩ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর নবান্নে এক পর্যালোচনা বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো বিকল্প চাষ ও কৃষকদের ক্ষতিপূরণের পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি ধান উৎপাদন করে বাংলা। আলু চাষেও দেশের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজ্য। এই বিকল্প চাষের পরিকল্পনার মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির দিকটি সরকারের দিক থেকে দেখা হবে।