সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে এ ভাবেই পাকিস্তানকে তুলোধনা করল ভারত। প্যারিসে ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চলছে। জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বৃহস্পতিবার সেখানে ভারতকে এককোণে করার চেষ্টা করে পাকিস্তান। তারই উত্তরে মুখ খুললেন ২ ভারতীয় কন্যা। ইউনেস্কো এবং মার্কিন কংগ্রেসের সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে কার্যত তুলোধোনা করলেন ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেত্রী অনন্যা আগরওয়াল এবং সাংবাদিক সুনন্দা বশিষ্ঠ।

এদিন অনন্যা আগরওয়াল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের ডিএনএ-র মধ্যেই সন্ত্রাসবাদ রয়েছে। মৌলবাদী চিন্তা ভাবনা ওদের সামাজিক জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। উন্মাদের মতো আচরণের জন্য আজ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে ওরা।’’

ইউনেস্কোর মতো মঞ্চে দাঁড়িয়েও কাশ্মীর নিয়ে ভারতের প্রতি বিষোদ্গার করা নিয়েও পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে অনন্যা বলেন, ‘‘ইউনেস্কোর মঞ্চে দাঁড়িয়েও ভারতের প্রতি বিষোদ্গার করছে পাকিস্তান। এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি।’’

২০১৮ সালে দুর্বল দেশের তালিকায় ১৪ নম্বরে নাম ছিল পাকিস্তানের। তার পরেও রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এবার তারা যেভাবে ভারত কে অপমান করার জন্য ইউনেস্কো সম্মেলনের মঞ্চ ব্যবহার করছে, তারও তীব্র নিন্দা করেছেন অনন্যা। পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশারফ ওসামা বিন লাদেন এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কেকে পাকিস্তানের হিরো বলে বর্ণনা করেছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন,” ১৯৪৭ সালের পর থেকে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা ২৩ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রশ্ন তোলার আগে নিজেদের দেশে মানবাধিকার রক্ষার দিকে নজর দেওয়া উচিত পাকিস্তানের।

অন্যদিকে, মার্কিন কংগ্রেসে মানবাধিকার নিয়ে শুনানি চলার সময় কাশ্মীরের প্রসঙ্গ ওঠে। সেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হন ভারতীয় সাংবাদিক সুনন্দা বশিষ্ঠ। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, ‘ভারত এক অনন্য গণতান্ত্রিক দেশ। পাঞ্জাব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গি সমস্যার মোকাবিলা করেছি। এখন কাশ্মীরের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইকে সমর্থনের সময় এসেছে।’

সুনন্দা আরও বলেন, ‘ভারত কাশ্মীরের উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেনি। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ভারতের পরিচয় কেবল ৭০ বছরের নয়। ৫ হাজার বছরের পুরনো সভ্যতার ধারক ভারত।’ কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশ পাকিস্তান এবং চিনের হাতে রয়েছে। তাই সেখানে গণভোট সম্ভব নয় বলেও দাবি করেছেন তিনি।
