রাতের অন্ধকারে বিজেপি নেতাকে মারধর করে ফেলা হল রূপনারায়ণের জলে!

বিজেপি নেতাকে মারধর করে নদীতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল। সাঁতরে পারে উঠে প্রাণ বাঁচালেন আক্রান্ত বিজেপি নেতা। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির ঘাটাল জেলার সম্পাদক প্রশান্ত বেরা। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। বিজেপি নেতার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে হলেও পরিবার জানিয়েছে, সময় কম লাগে বলে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট হয়ে তিনি ফিরছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, কোলাঘট ব্রিজের কাছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা প্রশান্তর উপর চড়াও হয়। মারধর করে জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয় রূপনায়ণের জলে। প্রাণে বাঁচতে নিজেই সাঁতার কেটে পারে ওঠেন তিনি। সকালে মৎস্যজীবীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। ভর্তি রয়েছেন তমলুক জেলা হাসপাতালের সিসিইউতে। তিনি মাঝে মাঝেই সংজ্ঞা হারাচ্ছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। আক্রান্ত বিজেপি নেতার দাদা প্রশান্ত বেরার অভিযোগ, কোলাঘাটের ব্রিজের উপর ভাইকে মারধর করে জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ব্রিজ থেকে জলে ফেলে দেয়। বিজেপির ঘাটালের সম্পাদক রামকুমার দের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে শাসক দলের দুষ্কৃতিরা জড়িয়ে। প্রশান্ত সুস্থ হলে পুরো ঘটনা সামনে আসবে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। জেলা সম্পাদক অজিত মাইতি বলেন, কিছু মাতাল, সমাজবিরোধী নেতা হয়েছে। মদ খেয়ে কেউ রাতে নদীতে ঝাঁপ দিলে তারজন্য কি তৃণমূল দায়ী থাকবে নাকি!

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleলস্করের টার্গেট, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে কলকাতায় বিরাট