জীবন বড়ই অদ্ভুত
মহিলার নাম মিস অ্যাঞ্জেলা,
বাড়ি – ফ্রান্সে।
পেশায় – ফটোগ্রাফার
জন্মসূত্রে বাঙালি❓
জন্মস্থান J N RAY HOSPITAL
আজ থেকে 42 বছর আগে ঠিক এই দিনে, এই হসপিটালে জন্মগ্রহণ করেন অ্যাঞ্জেলা। হাসপাতালে রেকর্ড অনুযায়ী মায়ের নাম পাওয়া গেলেও, পিতৃ পরিচয় ছিল না, ঠিকানা ছিল এক মিশনারি অনাথ আশ্রমের।
হসপিটাল তার পুনরুজ্জীবন এবং সংস্কারের সাথে সাথে যখন ফেসবুকে হসপিটালের পেজ খোলে, তখন থেকেই এই মহিলা হসপিটালের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। প্রথম প্রথম হসপিটাল কর্তৃপক্ষ ভাবতে থাকেন, অন্য আরও অনেক ফেক প্রোফাইলের মত এটাও কোন ফেক প্রোফাইল।
কিন্তু পরবর্তীকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারেন অ্যাঞ্জেলা ঠিকই বলছেন, যে তিনি এই হাসপাতালে জন্মেছিলেন, তারপর সেই মিশনারি আশ্রম থেকে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সুদূর ফ্রান্সে।
ফরাসি বাবা-মার আদর-যত্নে, স্নেহ-মমতায় বড় হতে থাকলেও ভারত বর্ষ, বাংলা, কলকাতা তার মনে এবং মাথায় গেঁথে গিয়েছিল। শুধু পাচ্ছিল না কোন সূত্র। ফেসবুকে এই হসপিটালকে দেখামাত্র, তাই তার বাবা-মাকে খোঁজার অভিযান শুরু হয়ে যায়।
তারপরটা তো লম্বা ইতিহাস, ক্রমাগত যোগাযোগ চলতে থাকে, ফেসবুকের পাতা পেরিয়ে যোগাযোগ সরাসরি ফোনের মধ্যে।
সেখান থেকে খুঁজতে খুঁজতে আজ নিজের 42 তম জন্মদিনে সোজা হাসপাতালে।
জানিনা 42 বছর আগে ছেড়ে যাওয়া বাবা-মাকে অ্যাঞ্জেলা আবার খুঁজে পাবে কি পাবে না, কিন্তু ভারতবর্ষে এঞ্জেলার অনেক নতুন বন্ধু, ভাই বোন সে নিশ্চয়ই আজকে পেল, সুদূর ফ্রান্সের সঙ্গে এই অনামি ছোট হাসপাতালটার ও একটা নাড়ীর যোগাযোগ আজকে বোধহয় নতুন করে স্থাপন হলো।
সেদিন ওই দুধের শিশুর ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে মূল্য না দিয়ে, ফেলে দেওয়া এঞ্জেলার সাথে ওর বাবা-মাকে আমরাও খুঁজছি, আপনারাও খুঁজুন খবরটা share করে।
#HAPPY_BIRTHDAY_ANGELA