Wednesday, December 17, 2025

মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত, রাজ্যপাল মনোনীত! সংবিধান দিবসে ধনকড়কে ঠুকলেন মমতা! কিন্তু কেন?

Date:

Share post:

বিধানসভায় সংবিধান দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। তৃণমূল শিবিরের দাবি, শুরুটা করেছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়। সংবিধান দিবস উদযাপনের ভাষণে রাজ্যে চ্যালেঞ্জের মুখে কাজ করতে হচ্ছে বলে শাসক দলকে নিশানা করেছিলেন জগদীপ ধনকড়। তারও আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল।

এদিন নিজের ভাষণে রাজ্যপাল পুরোটাই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন এবং কেন্দ্রের মোদি সরকারের নীতির প্রশংসা ঢালাও করেছেন। এরপরে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা দিয়ে বলেন, ”রাজ্যপাল ভাষণে কাশ্মীর নিয়ে বেশি বললেন। অথচ বাংলা নিয়ে কম। উনি ভোর ৫টা থেকে টুইট করতে থাকেন। ওনার অনুষ্ঠানে যাইনি বলে রাগ থেকেই এসব বলেন।”

এখানেই থেমে থাকেনি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন,”ওনাকে তিনটি চিঠি দিয়েছি। গতকালও একটা চিঠি দিয়েছিলাম। একটা বিষয়ে আর কটা চিঠি দেব! কতগুলো দিবস আছে যেগুলো পালন করতেই হয়। প্রচারের জন্য উনি কি এসব করছেন?”

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মোক্ষম চালটি দেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী। এটা নির্বাচিত পদ। প্রধানমন্ত্রীও নির্বাচিত। রাজ্যপাল কিন্তু মনোনীত। এর আগে এতজন রাজ্যপালের সঙ্গে কাজ করেছি। কারও সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়নি। আজকে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে? গণতন্ত্রের জন্য এটা ভালো নয়।”

রাজ্য-রাজ্যপালের এই সংঘাত অবশ্য নতুন নয়। সম্প্রতি নাম না করে রাজ্যপালকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ”কে, কেন কীজন্য ওনাকে এখানে পাঠিয়েছে, আমরা সবাই তা জানি। হেলিকপ্টার উনি যেদিন চেয়ে ছিলেন, সেদিন এখানে কেন্দ্রীয় দল বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে এসেছিল। আমাদের নিজস্ব হেলিকপ্টার নেই। জরুরি অবস্থায় আমরা হেলিকপ্টার ব্যবহার করি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে উনি ভালো ব্যবহার করেন।”

শুধু নাম না করে রাজ্যপালকে নিশানা করে মমতা ক্ষান্ত হননি। সবশেষে তিনি বলেন,”সিনিয়র নেতারা কেন এতদিন জেলে আছেন? কার ইগো স্যাটিসফাই করতে গিয়ে এসব করা হচ্ছে? দেশ ভাঙছে কারা? কে কী খাবে ঠিক করে দেবে একটা দল? অনেকেই ভয়ে কোনও কথা বলতে পারছে না। আমি কারওর অঙ্গুলি-হেলনে চলি না। আমাকে ভয় দেখিয়ে থামানো যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, ”এখন তো দেখছি চামচিকে, রাঘববোয়াল সবাই থ্রেট করছে। কখনও এজেন্সির ভয় দেখানো হচ্ছে। কখনও অন্য কিছুর নামে ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু দেশে এখনও কিছু সাহসী মানুষ আছেন। কেউ যদি মনে করেন আমি যা বলব তাই করতে হবে সকালে বিকালে থ্রেট করবে, আমি ওই থ্রেটে ভয় পাই না।”

সবমিলিয়ে সংবিধান দিবসেও রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। রাজ্যপাল যেমন রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কথা বললেন। ঠিক একইভাবে রাজ্যপালকেও বিঁধলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

spot_img

Related articles

বন্ধ থাকবে বিদ্যাসাগর সেতু, কোন রুটে হবে কলকাতা ম্যারাথন? জানুন বিস্তারিত

আগামী ২১ ডিসেম্বর টাটা স্টীল কলকাতা ম্যারাথন(25K Kolkata)। তার  আগে বুধবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ম্যারাথনের রুট ঘোষণা হল। ...

জিটিএ শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের রায় ঘিরে পাহাড়ে স্কুল ধর্মঘটের ডাক

কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল দার্জিলিং পাহাড়ের শিক্ষা পরিস্থিতি। জিটিএ অঞ্চলে ৩১৩ জন শিক্ষক...

ফুটেজ না দেখা পর্যন্ত মন্তব্য নয়! কীর্তি ইস্যুতে কড়া অবস্থান অভিষেকের

সংসদের ভিতরে ই-সিগারেট ব্যবহারের অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর সংসদে এই অভিযোগ...

গিলের চোট নিয়ে উদ্বেগ, দূষণের জেরে নির্ধারিত সময়ে শুরু হল না ম্যাচ

চোট কাটিয়ে ফিরেছিলেন। কিন্ত চতুর্থ টি২০ ম্যাচের আগের ফের চোটের করলে পড়লেন শুভমান গিল(Subhaman Gill)। লখনউতে ম্যাচের আগে...