‘তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত!’ রাজ্যপালকে খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর

সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানেও জিইয়ে রইল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এদিনের অনুষ্ঠানে দেখা হলেও কথা হল না রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর। পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বিধানসভায় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণের পাশাপাশি মোদির ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আবার রাজ্যপালের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতাতেই খোঁচা দিয়ে বললেন, “অনেকের কথা শুনে ইদানীং হাসি পায়। ওই যে একটা গান আছে না! তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত!”

রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী। সাংবিধানিক গণতন্ত্রে তাঁরা তালমিল করে চলবেন সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু মঙ্গলবারের ছবিটা বুঝিয়ে দিল, পারস্পরিক সম্পর্কের তিক্ততা কোন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেও ‘ডোন্ট কেয়ার’ ভাব করে আব্দুল মান্নানের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। পরে তাঁর বক্তৃতায় বিস্ফোরক কথা বলেন ধনকড়। কোনওরকম রাখঢাক না করে বলেন, “বাংলায় সাংবিধানিক পদের অবমাননা হচ্ছে। আমায় কাজ করতে হচ্ছে আপস করে।”

কিন্তু আজ ধনকড় যখন বিধানসভার অধিবেশনেও ক্ষোভ উগরে দিলেন, তখন মুখ্যমন্ত্রীও মুখে আগল রাখলেন না। রাজ্যপালকে সরাসরি কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “আমরা জানি তো আপনাকে কে পাঠিয়েছেন, আর কেন পাঠিয়েছেন। সাংবিধানিক প্রধানের কতটা এক্তিয়ার রয়েছে তাও জানি। রাজভবনে কাট আউট লাগাবেন কিনা সেটা এবার ভাবতে বলুন”।

Previous articleমুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত, রাজ্যপাল মনোনীত! সংবিধান দিবসে ধনকড়কে ঠুকলেন মমতা! কিন্তু কেন?
Next articleরাতেই শরদের বাড়ি গেলেন অজিত পাওয়ার