আইএসএল-এর ফাইনালে মোহনবাগান , যুবভারতীতে ওড়িশা এফসিকে হারালো ২-০ গোলে

ম্যাচে এদিন প্রথম থেকে চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই।

আইএসএল-এর ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এদিন দ্বিতীয় লেগের সেমিফাইনালে ওড়িশা এফসিকে ২-০ গোলে হারালো আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে জয় পেল মোহনবাগান। প্রথম লেগে ১-২ গোলে হেরেছিলো বাগান ব্রিগেড। এদিন বাগানের হয়ে গোল দুটি করেন জেসন ক্যামিংস এবং সুপার সাব হিসাবে নামা সাহাল আব্দুল সামাদের। ফাইনালে যাওয়ায় মোহনবাগানকে শুভেছা জানান ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

ম্যাচে এদিন প্রথম থেকে চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। তবে মোহনবাগানকে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ম্যাচের ২২ মিনিটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় হাবাসের দল। বাগানের হয়ে গোল করেন জেসন ক্যামিংস। গোলের ক্ষেত্রে কৃতিত্ব যদি হয় ক্যামিংসের। তবে এমন গোল খাওয়ার জন্য নিজের দোষটাও এড়িয়ে যেতে পারেন না ওড়িশা গোলকিপার অমরিন্দর সিং। গোলকিপাররা কোনও শট ফিস্ট করতে হলে তা কখনই সোজা করেন না। তাতে বিপক্ষের স্ট্রাইকারের কাছে তা চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এদিন ওড়িশা গোলকিপার সেই ভুলটাই করে বসলেন। ম্যাচের ২২ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসের শট সামনের দিকে ফিস্ট করলেন। সুযোগের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা ক্যামিংস ট্যাপ করে গোল করে যান। এরপর ফের আক্রমণে ঝাঁপায় হাবাসের দল। তবে পালটা আক্রমণে যেতে ভোলেনি ওড়িশা এফসি। প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে মোহনবাগানের গোল বাঁচান হেক্টর উস্তে। ইশাক রালতের হেড বাঁচানোর মতো জায়গায় ছিলেন না সবুজ-মেরুন গোলকিপার বিশাল কাইত। গোললাইন থেকে বল বাঁচান হেক্টর। ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে মোহনবাগান।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দলে একাধিক পরিবর্ত্ন করেন বাগান কোচ। অভিষেক সূর্যবংশীকে নামিয়ে দেন হাবাস। দীপক টাংরির জায়গায় আসেন তিনি। এর পর একের পর এক আক্রমণে ঝাপায় বাগান ব্রিগেড। ৫৮ মিনিটে গোল করে যেতে পারতেন অনিরুদ্ধ থাপা। ডানদিক থেকে মনবীর সিং-এর ক্রস থেকে হেড করেন মোহনবাগান মিডফিল্ডার। প্রথম পোস্টে রাখা সেই হেড অমরিন্দরের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে গলে গেলেও তা জালে জড়ায়নি। ৬৪ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে গোল করার চেষ্টা করলেও, পেত্রাতসের শট বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৬৮ মিনিটে প্রিস্টনের জায়গায় লেনি রডড্রিগেজকে নামিয়ে দেন লোবেরা। আর ৭২ মিনিটে সাহাল আব্দুল সামাদকে নামিয়ে দেন হাবাসও। চোটের জন্য দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন ভারতীয় দলের এই তারকা। মাঠে নেমেই বাগানকে ভরসা দিলেন তিনি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে বাগানের ২-০ করেন সাহাল আব্দুল সামাদ। মনবীরের ক্রস ধরে গোল করেন সাহাল। আর এই গোলের সুবাদে আইএসএলের ফাইনালে উঠল হাবাসের দল।

আরও পড়ুন- পাঞ্জাব ম্যাচের হার ভুলে দিল্লি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা কেকেআর শিবিরে

Previous articleভোটের আবহে মোদিরাজ্যে উদ্বার ৬০০ কোটির মাদক! পাক নৌকা-সহ আটক ১৪
Next articleনন্দীগ্রামের শহিদদের নিয়ে কুকথা! গদ্দার শুভেন্দুকে ধুয়ে দিল তৃণমূল