তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে হায়দরাবাদ গণধর্ষণ-খুনের ঘটনার নির্মমতা। জেরায় ধৃত চার অভিযুক্ত জানিয়েছে, তরুণীর চিৎকার থামাতে তাঁর মুখে জোর করে মদ ঢেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। ধর্ষণের পরে নিজেদের ট্রাকে করে ওই চিকিৎসকের দেহ নিয়ে গিয়েছিল তারা। রাস্তাতেই পেট্রোল কিনে হায়দরাবাদের চাতানপল্লির কাছে কালভার্টের নীচে পশু চিকিৎসকের দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত জুল্লু নবীন, ট্রাক চালক মহম্মদ আরিফ, জুল্লু শিবা, চিন্তাকুনটা চেন্নাকেশাভুলুর মধ্যে মূল অভিযুক্ত জুল্লু নবীন। সেই তরুণীর মুখে মদ ঢেলে দেয়।
এদিকে, যে শাদনগর থানায় ধৃতদের রাখা হয়েছিল, তার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। থানা লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চালায়। এই ঘটনার পরে অভিযুক্তদের থানা থেকে সরিয়ে হায়দরাবাদ জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের 14 দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত। মৃতের পরিবারের আর্জি মেনে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও।