সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (সিএবি): একনজরে কিছু তথ্য জেনে নিন

0
3

সংসদের এই অধিবেশনেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় পেশ করা হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অর্থাৎ সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল বা সিএবি। লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হওয়ার পর তা রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। রাষ্ট্রপতি বিলে স্বাক্ষর করে নোটিশ জারি করলেই তৈরি হবে নতুন নাগরিকত্ব আইন।

১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের কিছু শর্ত শিথিল ও সংশোধন করে হিন্দু তথা অমুসলিম মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ করা হচ্ছে। মোদ্দা কথা, হিন্দুরা অন্য দেশ থেকে অনুপ্রবেশ করলেও শরণার্থী হিসাবে নাগরিকত্বের সুযোগ পাবেন, কিন্তু মুসলিমদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত হতে হবে।

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এই তিন মুসলিমপ্রধান দেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান নাগরিকদের কাছে বৈধ নথিপত্র না থাকলেও নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

আগের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী ভারতে ১১ বছর থাকতে হত নাগরিক হিসাবে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য। সংশোধনী বিলে ১১ বছরের সময়সীমা কমিয়ে ৬ বছর করা হয়েছে।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ভিত্তিবর্ষ ধরা হয়েছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। অর্থাৎ এই দিনের আগে ভারতে অনুপ্রবেশকারী সব হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টান মানুষই নাগরিকত্ব পাবেন।

মুসলিমপ্রধান তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে অমুসলিম হিসাবে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে ঢুকলে শরণার্থীর স্বীকৃতি পাওয়া যাবে। এরপর ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করে শর্ত পূরণ করতে পারলেই মিলবে নাগরিকত্ব। কিন্তু ওই তিন দেশ থেকে আসা মুসলিমরা শরণার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন না।

অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও মিজোরামের ইনার লাইন পারমিট এলাকা সিএবি বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বাইরে থাকবে।

অসম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার ষষ্ঠ তফশিলে গঠিত জেলা পরিষদ ও স্বশাসিত এলাকায় বিল কার্যকর হবে না।