জনসংযোগে রাজ্যপালকে এবার চিড়িয়াখানা যাওয়ার পরামর্শ পার্থর!

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণে নতুনমাত্রা যোগ করলেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে চিড়িয়াখানা ঘুরতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁর কথায়, “উনি সব জায়গা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভিক্টোরিয়া, রবীন্দ্র সরোবর, দুটি কলেজ, কয়েকটি জেলা হয়ে গেল। এবার বরং তিনি চিড়িয়াখানা যান। সেখানে তিনি অনেক ভাল জনসংযোগ করতে পারবেন।” পাশাপাশি রাজ্যপালের কালীঘাটে ঘুরতে যাওয়ার কোনও ভাবনা আছে কিনা সেটাও দেখতে চান তৃণমূল মহাসচিব।

গতকাল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করার পাশাপাশি, আজ বৃহস্পতিবার বিধানসভায় গেলে আরও এলপ্রস্থ নাটক হয়। সেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে সৌজন্য দেখানোর কেউ ছিলেন না বলে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। তাঁর সঙ্গে যা ঘটছে, সেটা গণতন্ত্রের পক্ষে সুখকর নয় বলেই দাবি করেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপালের যদি বিধানসভায় ঘুরতে আসার এত ইচ্ছা, তাহলে তিনি অধিবেশন চলাকালীন আসতে পারতেন। ছুটির দিনে কেন রাজ্যপাল এলেন? বিধানসভায় তো অনেক দর্শক ছাত্রছাত্রীরা আসেন সভা দেখতে। তাদের জন্য পৃথক বসার জায়গা করা আছে। রাজ্যপালও এসে সেখানে বসতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে রাজ্যপাল ছুটির দিন এলেন।

এখানেই থেমে থাকেননি শিক্ষামন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান হয়েও ভুলে যাচ্ছেন বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে একটি সরকার কাজ করছে। সেই সরকারের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা না করেই রাজ্যপাল নিজের মত এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উনি ঘুরুন, তাতে সরকারের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কোনও সমস্যা হলে রাজভবনে ডেকে আলোচনা করুন। রাস্তাঘাটে ঘুরে তিনি নিজেকে হাইলাইট করতে চাইছেন বলেই দাবি করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।

তৃণমূল মহাসচিব এর দাবি, তাঁর জীবনে অনেক রাজ্যপাল দেখেছেন। কিন্তু অদ্ভুত ধরনের রাজ্যপাল এই প্রথম দেখছেন। যার একমাত্র এজেন্ডা, বিতর্ক তৈরি করে মিডিয়ার সামনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা।

Previous articleঅর্ধেকের বেশি পথ অতিক্রম করল লংমার্চ
Next articleচাঁদে বাড়ি বানিয়ে বিশ্ববন্দিত তিন বাঙালি পড়ুয়া