Sunday, November 16, 2025

“জনগণ জেতাতেও পারে, জুতো পেটাও করতে পারে”: NRC-CAB বিরোধিতায় কানহাইয়া কুমার

Date:

সংসদে যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করেছেন, ঠিক তখনই কলকাতার রানি রাসমণি রোডে একটি অরাজনৈতিক সমাবেশে NRC-CAB-এর বিরোধিতায় কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করলেন কানহাইয়া কুমার।

নিজস্ব স্টাইলে কানহাইয়া কুমার বলেন, “এই সরকার গণতন্ত্র মানে না। সুতরাং, আপনিও এই সরকারকে মানবেন না। ওরা ভুলে গিয়েছে জনগণ ভোট দিয়ে ৫ বছরের জন্য জেতাতেও পারে, আবার সেই জনগণই জুতোপেটাও করতে পারে।” তাঁর এই কথায় হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা সমাবেশ চত্ত্বর।

এরপর কানহাইয়া কুমার মোদিকে কটাক্ষ করে বলেন, “মোদি মাঝে মধ্যেই বিদেশ যান, কিন্তু সেখান থেকে ভালো কিছু শিখে আসতে পারেন না। সব খারাপ জিনিসগুলো শিখে এসে দেশে সেটা করতে চান। দেখবেন মাছি যেমন আপনার শরীরের ভালো জায়গায় বসে না, কিন্তু কোথাও ঘা হয়ে থাকলে সেখানে বসে। মোদিও সেরকম, বিদেশে কোথাও কোনও খারাপ থাকলে সেটাই শিখে আসেন।”

কানাইয়ার দাবি, মোদি সরকার NRC বা CAB-এর নামে দেশকে ইংরেজদের মতো ভাগ করতে চাইছে। আমাদের দেশের সংবিধান কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের কথা বলে না। মোদি-অমিত শাহ দেশের ইতিহাস জানেন না। তাই এমন কাজ করতে চাইছে। আসামে জনগণ NRC চেয়েছিল। হয়তো সেখানে NRC প্রয়োজন ছিল। আর সেটা নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে গোটা দেশে NRC-এর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু নিজেদের ফাঁদে ওরা নিজেরাই পা দিয়েছে। বুঝতে পারেনি আসামে NRC হলে সেই তালিকায় সিংহভাগ হিন্দুর নাম বাদ পড়বে। এখন তাই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করাচ্ছে।

মোদিকে চ্যালেঞ্জ করে কানহাইয়া বলেন, “মোদি যদি নিজের ঠাকুমার মায়ের, তাঁর মায়ের নাম বলতে পারে, তাহলে আমিও আমার দাদুর বাবার, তাঁর বাবার নাম বলবো। কিন্তু উনি পারবেন না। অথচ, NRC করতে চাইছে।”

এখানেই থেমে থাকেননি কানহাইয়া। তিনি বঙ্গবাসী-সহ গোটা দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, “যদি আপনাদের বাড়িতে কেউ NRC নিয়ে নথি চাইতে যান, তাহলে সেই সরকারি কর্মীকে বসতে বলবেন। জল খাওয়াবেন। তারপর চলে যেতে বলবেন। সেইসঙ্গে তাঁকে বলে দেবেন, আগে মোদির কাছ থেকে ১৫ আনুন, ২কোটি চাকরির হিসেব আনুন। আর বলবেন, দেশের মধ্যে আছে দিন কোথায় হয়েছে, তার ঠিকানা আনুন। তারপর নথি দেখাবেন।”

সবশেষে কানহাইয়া দেশবাসীকে একজোট হয়ে লড়াই করার আবেদন করেন। ১৯ ডিসেম্বর একতা দিবস পালন করার অনুরোধ করেন। তাঁর কথায়, “বিজেপি-আরএসএস সবসময় দেশভাগের জন্য কংগ্রেসকে দোষারোপ করে। কেউ দোষী নয়। ধর্মের ভিত্তিতে এই দেশভাগ করেছ মাত্র দুজন। ত মহম্মদ আলি জিন্না আর সাবড়কর এই দেশভাগের হোতা। এরা দুজন কেউই খাঁটি মুসলিম বা হিন্দু নয়। এদের মধ্যে কোনদিন মুসলমান বা হিন্দুর জন্য ভালবাসা কাজ করেনি। নিজেদের স্বার্থের জন্য এরা দুজন দেশভাগের চক্রান্ত করেছে। এই দেশ গান্ধি, আম্বেদকরের দেশ। আমাদের দেশের সংস্কৃতি কখনও ভাগাভাগির কথা বলে না।”

কী বললেন কানহাইয়া কুমার দেখে নিন…

Related articles

২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়া-সন্ধ্যায় কৃতী সংবর্ধনা ও এডুকেশন হেলথ কার্ড উদ্বোধন

উত্তর কলকাতার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে রঙিন সাংস্কৃতিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হল সংবর্ধনা ও সমাজসেবামূলক এক...

কলকাতা দর্শন: ডিসেম্বরেই শহর ভ্রমণে নতুন উদ্যোগ! চালু হচ্ছে বিশেষ পর্যটন বাস পরিষেবা

শীতের মৌসুমে কলকাতার পর্যটন শিল্পকে তেজ দিতে নতুন পদক্ষেপ নিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। ডিসেম্বরের শুরু থেকে চালু হতে...

কাপড়ের ব্যবসা করে জীবন কাটাচ্ছেন ধর্ষণের দায়ে জেল খাটা বলিউড নায়ক!

বলিউডের (Bollywood) একসময়ের নামকরা হিরো এখন রিয়েল লাইফে জিরো। 'গ্যাংস্টার'-এর মতো সুপারহিট সিনেমায় অভিনয়ের পর ধর্ষণের দায়ে সাত...

ডিসেম্বরেই সম্পন্ন হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া! এসএসসির তালিকা প্রকাশ হতেই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

কারা ডাক পেলেন একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ইন্টারভিউ তালিকায়, এবার সেই নাম প্রকাশ করল এসএসসি। শনিবার ২০ হাজার নামের এক...
Exit mobile version