জামিয়া-পড়ুয়াদের গায়ে গুলির আঘাত রয়েছে, জানালেন চিকিৎসকরা, অস্বীকার পুলিশের

দিল্লিতে রবিবার বিক্ষোভরত 2 জন জামিয়া-পড়ুয়ার দেহে গুলির আঘাতের চিহ্ন আছে৷ তাঁদের সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ সংবাদমাধ্যমে এমনই জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিটেনডেন্ট। দুই পড়ুয়ার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ওদিকে, গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে দিল্লি পুলিশ৷ তাদের দাবি, ভিড় হঠাতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ৷

দাবিতে অনড় জামিয়া মিলিয়া পড়ুয়ারা
দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগই আনছে৷ দিল্লি পুলিশের পিআরও এমএস রানধাওয়া সোমবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “কোনও গুলি চালানো হয়নি, জামিয়ার হিংসার ঘটনায় কেউ আহত হননি।
রবিবার বিক্ষোভ শুরু হতেই তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ, তাঁদের এগিয়ে যেতে নিষেধ করে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি সেখানে অগ্নিসংযোগও করা হয়েছে৷” রানধাওয়া জানিয়েছেন, রবিবারের ঘটনার তদন্ত করবে অপরাধ দমন শাখা।

জামিয়া পড়ুয়াদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পুলিশ ভোর 3 টে পর্যন্ত প্রায় কয়েকশো পড়ুয়াকে আটক করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছে, কোনও অনুমতি ছাড়াই পুলিশ অবৈধভাবে ঢুকে পড়ে এবং কর্মী ও পড়ুয়াদের হেনস্থা করে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁদের অনেককেই লাইব্রেরি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওয় শৌচাগারে অচৈতন্য পড়ুয়াদের পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
দিল্লি পুলিশকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা ANI জানিয়েছে, “হিংসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা ব্যবস্থা নিই৷ ভিড় যখন হঠানো হচ্ছিল, পুলিশ তাঁদের তাড়া করে। পড়ুয়ারা ছুটে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়েন এবং পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন”।
ওদিকে, এই হিংসার ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা৷ তাদের অভিযোগ, বিজেপির কথা শুনে চলছে দিল্লি পুলিশ৷ আজ, মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি বামেরা বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে৷

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next article‘সংখ্যাগরিষ্ঠ’ দল 50 শতাংশ ভোটও পায়নি, সতর্কবার্তা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের