বাংলায় ‘সিএএ’ মানে “ছিনিয়ে আনবো অধিকার”! বার্তা অভিষেকের

তৃণমূল ছাত্র-যুবর ডাকে ধর্মতলার রানি রাসমণি রোড থেকে এআরসি-সিএএ বিরোধী মঞ্চ থেকে ‘সিএএ’-এর নতুন অর্থ বেঁধে দিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেন, “বিজেপির কাছে সিএএ-এর অর্থ সিটিজেন্স অ্যামেডমেন্ট বিল হলেও বাংলায় ‘সিএএ’ মানে ছিনিয়ে আনবো অধিকার।”

পাশাপাশি, অভিষেক কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও মোদি-শাহকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আপনারা উত্তর প্রদেশে যা করতে পারেন, সেটা বাংলায় করা যাবে না। এই বাংলা বিকেকানন্দ, নেতাজি, বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরাম, রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, মাতঙ্গিনী হাজরার পবিত্র বাংলা। এটা সম্প্রীতির বার্তা। এখানে বিভাজনের রাজনীতি চলবে না”। এরপরই অভিষেকের প্রশ্ন, “মোদি-অমিত শাহের NRC, নোটবন্দি, জিএসটি-এর জন্য যে মানুষগুলিকে মরতে হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বড়লোক কজন?”

এখানেই থেমে থাকেননি অভিষেক। মোদি-অমিত শাহকে একহাত নিয়ে বলেন, “অসম, ত্রিপুরা, মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীরা ইস্তফা দিন। বলুন ওই রাজ্যের সরকার অবৈধ। যাঁদের ভোটে আপনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন, যাঁরা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন, তখন জানতে চাননি কেন, তাঁরা নাগরিক কি না?”
বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বলেন, “আমার মানুষের আন্দোলন গড়ে তুলেছি রাজপথে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নয়, শুরু থেকেই প্রতিবাদ করছে। তাঁর দাবিকে মান্যতা দিয়ে এখন অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও এনআসি-সিএএ বিরোধিতা করছে। আসলে বাংলাই চিরকাল পথ দেখিয়েছে। আমি বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের চ্যালেঞ্জ করে বলছি, কেবিনেটের ৫ জন মন্ত্রীও যদি নিজের ঠাকুরদা আর ঠাকুমার জন্ম সার্টিফিকেট দেখান, তাহলে ইস্তফা দেব”।

সবশেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র-যুবদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আন্দোলন করতে গিয়ে বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না। শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করুন। আমি এখানে বলে যাচ্ছি, জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দেব, কিন্তু বিজেপির কাছে মাথানত করবো না।”

আরও পড়ুন-সিএএ-র বিরোধিতায় বিক্ষোভ ঘিরে রণক্ষেত্র লখনউ

 

Previous articleসিএএ-র বিরোধিতায় বিক্ষোভ ঘিরে রণক্ষেত্র লখনউ
Next articleদেশজোড়া প্রতিবাদের তীব্রতা বাড়ছে, জারি ১৪৪ ধারা, আটক বহু