সিএএ এবং এনআরসি বিরোধিতায় উত্তাল দেশ। পাশাপাশি, এর সমর্থনে দেশজুড়ে গেরুয়া শিবির নেমেছে। মিটিং-মিছিল বিক্ষোভ, ঘটছে প্রাণহানির ঘটনাও। এর মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপন আলোচনা তুঙ্গে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হাইস্কুলের শিক্ষক, ২৯ বছরের ৫ ফুট 9 ইঞ্চির জনৈক ঘোষ বাবু নিজের জন্য ৫ ফুট ১ ইঞ্চির পাত্রী চেয়েছেন। তবে, এ আর নতুন কী? পাত্রী চাই কলামে এই ধরনের বিজ্ঞাপন হামেশাই চোখে পড়ে। কিন্তু এটি আলোচনার কেন্দ্রে, কারণ এখানে একটি শর্তের কথা উল্লেখ আছে। পাত্রীর পরিবারের ১৯৭১ এর আগে ভারতীয় হওয়ার প্রমাণ প্রয়োজন।
২৯ বছরের পাত্রের জন্য যে পাত্রী চাইছেন, তাঁর বয়স ২৯ বা তার কম হবে সেটাই স্বাভাবিক। সুতরাং তাঁর জন্ম ১৯৭১-এর অনেক পরেই হয়েছে। তবে পরিবারের অর্থাৎ অভিভাবকের ১৯৭১-এর আগের ভারতীয় হওয়ার প্রমাণ প্রয়োজন। এই বিজ্ঞাপন দেখে হাসির ফোয়ারা ছুটেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে একই সঙ্গে কেউ কেউ টিপ্পনি কেটে বলেছেন, এনআরসি বিষয়টি এতই আতঙ্ক ছড়িয়েছে যে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না কেউই। অসমে এই উদাহরণ অনেক আছে, যেখানে স্বামী-স্ত্রীকে আলাদা হয়ে যেতে হয়েছে। কোথাও স্বামী বা কোথাও স্ত্রী রয়েছেন ডিটেনশন ক্যাম্পে। বলা তো যায় না, বিয়ের পর যদি দেখা যায় যে নাগরিক পঞ্জী বউয়ের নাম নেই, তখন আলাদা হয়ে যেতে হবে দম্পতিকে। সেই কারণেই আটঘাট বেঁধে নামতে চাইছেন এই মাস্টার মশাই। তবে, বিজ্ঞাপনটি কোন বাংলা দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে তা জানা যায়নি। বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই করেনি ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’।