রাত পোহালেই শান্তিনিকেতনে শুরু পৌষমেলা

সোমবার রাত ৯টায় গৌর প্রাঙ্গণে বৈতালিক আর রাত সাড়ে ৯টায় শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহে সানাই সুরের সঙ্গে এক অর্থে শুরু হল ১২৫ তম পৌষমেলা।

মঙ্গলবার সকালেই ছাতিমতলায় শুরু হবে উপাসনা। অংশগ্রহণ করবেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিদ্যুৎকুমার চক্রবর্তী, প্রাক্তন আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর প্রমুখ।

বিশ্বভারতী ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার জানান, ১৮৯৪ সালে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন জোড়াসাঁকোয় শয্যাশায়ী, তখন তাঁরই নির্দেশেই তাঁর পুত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপস্থিতিতে ৭ই পৌষ উপাসনা গৃহের উদ্বোধন হয়। সেই উপলক্ষে কাঁচঘর সংলগ্ন মাঠে একদিনের মেলা হয়। ১৯২১ পর্যন্ত একদিনের পৌষমেলায় হত। ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠার পরে, ১৯৬১ অর্থাৎ গুরুদেবের শতবর্ষ পর্যন্ত ২ দিন মেলা হত। মেলার কলেবর বড় হওয়ায় সেই সময় থেকে মেলা পূর্বপল্লির মাঠে সরে যায়। ১৯৬১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত মূল মেলা ছিল তিনদিনই। তারপর চলত ভাঙা মেলা। পরিবেশ আদালতের নির্দেশে ২০১৬ থেকে তিনদিনের মেলা শেষ হতেই মাঠ খালি করে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এবার সেই মেলা চারদিনের ছাড়পত্র পেয়েছে।
মেলা প্রবর্তনের ৪ বছর বাদে অর্থাৎ ১৮৯৮ থেকে ৭ পৌষ কলকাতা থেকে হাওয়াই বাজি নিয়ে যাওয়া হত। ছোট আকারে পূর্বপল্লির মাঠে পোড়ান হত। পরে সুরুল থেকে বাজি নিয়ে এসে বাজি পোড়ানো হত। সেই বাজি পোড়ানো দেখতে ভিড় হত। পরিবেশ আদালতের নির্দেশে সেই বাজি পোড়ানও এবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেলার দূষণ বিধি নিয়ন্ত্রণ দেখার জন্য একটি মনিটরিং কমিটি গড়া হয়েছে। মেলায় যথারীতি থাকছে সত্যপীরের পাঁচালী, বাউল, লোকনৃত্য, কীর্তন, রাইবেশে, সাঁওতালি নৃত্য, স্মৃতিবাসর, যাত্রাপালা।

Previous articleএনআরসি আতঙ্ক পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনে!
Next articleধনকড়কে আচার্য মানতে নারাজ যাদবপুরের পড়ুয়ারা!